খড়্গপুরের নিমপুরার এক গুরুদ্বারে জুন মালিয়া। নিজস্ব চিত্র।
মোদীর ‘ক্যাচলাইন’ তাঁর বিরুদ্ধেই ব্যবহার করলেন দিদির স্নেহভাজন।
ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কথা প্রায়ই শোনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ অন্য বিজেপি নেতাদের মুখে। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া শুক্রবার রেলশহরে প্রচারে এসেই শোনালেন ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর কথা। তবে প্রেক্ষিতটা আলাদা। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে গতবার জিতেছিলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। এ বার সেখানে তৃণমূলকে জেতানোর আবেদন করে জুন বোঝাতে চেয়েছেন, রাজ্যে যেহেতু ক্ষমতায় তাঁরা সে ক্ষেত্রে রেলশহরের মানুষের ডবল ইঞ্জিনের সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ বার মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থী কে তা জানা যায়নি এখনও। দিলীপই যে প্রার্থী হবেন তা নিশ্চিত হয় এখনও। বরং বাতাসে ভাসছে ভারতী ঘোষের নাম। তবে এ দিন জুন দিলীপের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন।
প্রার্থী হওয়ার পর এ দিন প্রথমবার খড়্গপুর শহরে এসেছিলেন জুন। ‘অধিকার যাত্রা’য় নিজের কর্মসূচির সূচনায় মিশ্র সংস্কৃতির রেলশহরে ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তায় মূলত সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দর্শন করেছেন তিনি। এ দিন জুনের মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, গুরুদ্বার দর্শনে সে ভাবে বড় জমায়েত এ দিন কোথাও হয়নি। জুনের সঙ্গে ঘুরতে দেখা যায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান দীনেন রায়, পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার, খড়্গপুরের পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষকে। ছিলেন রবি পাণ্ডে, দেবাশিস চৌধুরী, জওহরলাল পালের মতো শহরের তৃণমূলের নেতাদের। বিকেলে রাজ্য সরকারের উপভোক্তাদের নিয়ে বাবুপার্কের সভায় তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “খড়গপুর আরও উন্নত হতে পারে। ওরা (বিজেপি) বলে না ডবল ইঞ্জিন সেটা আমি বলছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy