(বাঁ দিক থেকে) দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র মঞ্চে শরদ পওয়ার, সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং ভগবন্ত মান । ছবি: পিটিআই।
‘স্বচ্ছ এবং অবাধ’ লোকসভা নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ তুলে এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে বিজেপির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ‘বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রা।
দেশের সব ক’টি রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনে সমান সুযোগসুবিধা পায়, সেই জন্য বিরোধী জোটের তরফে কমিশনের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানান তিনি। কমিশনের কাছে প্রিয়ঙ্কার প্রথম আর্জি, লোকসভা ভোট শাসক কিংবা বিরোধী, সব দলের জন্য সমান সুযোগসুবিধা থাকার বিষয়টি সুনিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশে আয়কর দফতর, ইডি এবং সিবিআই যাতে বিরোধীদের প্রতি দমনমূলক পদক্ষেপ করতে না পারে, সে দিকে কমিশনকে নজর রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
বিরোধী জোটের তরফে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। বিরোধী দলগুলিকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এগুলি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ১৮০০ কোটি টাকা চেয়ে আয়কর দফতর নোটিস পাঠিয়েছিল রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলকে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩০ মার্চ আরও তিনটি নোটিস দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। তবে প্রিয়ঙ্কা নির্দিষ্ট ভাবে কোনও দল কিংবা ঘটনার কথা উল্লেখ করেননি।
বিরোধীদের পাঁচ দাবির মধ্যে এসেছে নির্বাচনী বন্ডের প্রসঙ্গও। বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে পাওয়া চাঁদার বিনিময়ে জুলুমবাজির অভিযোগ তুলে এই বিষয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের আর্জি জানানো হয়েছে। বিজেপি ‘প্রতিহিংসার বশে’ কী ভাবে বিরোধী দল এবং বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ আনছে, তা-ও ওই তদন্ত কমিটির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
এই পাঁচ দাবির প্রসঙ্গ তুলে প্রিয়ঙ্কা বলেন, “ক্ষমতা চিরকাল থাকবে না। ঔদ্ধত্যও মুছে যাবে। কেবল সত্যই দিনের শেষে জিতবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy