কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
জনসভার মাঠ থেকে বিজেপি কর্মী বলে উঠলেন, ‘‘আমরা পিওকে (পাক অধিকৃত কাশ্মীর) চাই।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জনসভার মঞ্চ থেকে বললেন, ‘‘পিওকে আমাদের ছিল, আছে, থাকবে।’’ শুধু ‘পিওকে’ নয়, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি থেকে দেশের মাটিতে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং রফতানির প্রসঙ্গ তুলে ‘জাতীয়তাবাদী’ বক্তব্যে ঝড় তুললেন রাজনাথ। তবে এ দন তাঁর বক্তব্যে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক প্রসঙ্গ থাকলেও পাহাড়ে বা রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে কোনও কথা ছিল না।
রবিবার শিলিগুড়ি শহরের টিকিয়াপাড়ায় রেলের মাঠে দার্জলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার প্রচারে জনসভা ছিল রাজনাথের। সেখানে তিনি রামমন্দির নির্মাণ থেকে প্রতিরক্ষায় দেশের সুনামের দাবি করে ‘জাতীয়তাবাদী’ বক্তব্যে জোর দেন। তবে এ দিন একটি ছোট মাঠের জনসভাতেও ভিড় না হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরে। তৃণমূলের অভিযোগ, উন্নয়নের কথা না বলে ‘জাতীয়তাবাদের’ হাওয়া তুলে ভোটে জিততে চাইছে বিজেপি।
এ দিন বক্তব্যে রাজনাথ জানিয়েছেন, আগে ভারতকে কমজোর বলা হত। বর্তমানে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার শক্তি রয়েছে ভারতের। দুনিয়া ভারতকে সম্মান করে। কেউ চোখ রাঙিয়ে যাবে, ভারত এটা মানবে না। কমজোর ভারত এটা নয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি দাবি করেন, যুদ্ধ থামাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছিল অনেক দেশ থেকে।
রামমন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি সরকার যে ‘লক্ষ্যে অবিচল’, সেই দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্য নিজেদের নামে চালানোর অভিযোগও তুলেছেন তিনি। শিলিগুড়ি, উত্তরবঙ্গের জন্য তাঁর বিশেষ নজরের কথা জানিয়েছেন। তার পরেই তিনি বক্তব্য শেষ করতে জনসভার মানুষের কাছে অনুমতি চাইছিলেন। জনসভার মাঠ থেকে এক বিজেপি কর্মী ‘পিওকে’ চাই বলে চিৎকার করেন। মন্ত্রী মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘পিওকে আমাদের ছিল, পিওকে আমাদের রয়েছে, পিওকে আমাদের থাকবে। চিন্তা করবেন না, ভারত এখন উন্নত। পিওকের ভাইবোনও দাবি তুলছে, তাঁরা ভারতের হয়ে থাকতে চান।’’
দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন করেনি। তাই তারা উন্নয়নের কথা ভুলে গিয়েছে। সে জন্য এখন জাতীয়তাবাদের কথা বলে ভোট চাইতে হচ্ছে। মানুষ সব জানে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy