—ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই ভোটগণনা। তার আগে রাজ্যের দুই বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সোমবার। এই দুই বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার সকাল ৭টা থেকে সেখানে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
বারাসত এবং মথুরাপুরের একটি করে বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রবিবার তাদের তরফে জানানো হয়, বারাসত লোকসভার অন্তর্গত দেগঙ্গা বিধানসভার কদম্বগাছি সর্দারপদ এফপি স্কুলের ৬১ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন হবে। পুনরায় ভোট হবে মথুরাপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত কাকদ্বীপ বিধানসভার আদ্দিরমহল শ্রীচৈতন্য বিদ্যাপীঠ এফপি স্কুলের ২৬ নম্বর বুথেও। শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফায় এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে সে দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তির খবর আসে। গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। তবে ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট এই দু’টি বুথেই আবার ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা খোলসা করেনি কমিশন।
সাধারণত, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়ে থাকে কমিশন। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে কমিশনকে এই পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। রবিবার কমিশনের সচিব রাকেশ কুমার এই দুই লোকসভা কেন্দ্রের বুথ দু’টিতে পুনর্নির্বাচন করানোর নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের পুনর্নির্বাচনের বিষয়ে অবহিত করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তার পর সোমবার সকাল থেকে দু’টি বুথে আবার ভোট শুরু হয়েছে।
বাংলার ৪২টি কেন্দ্রে গত ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাত দফায় ভোট হয়েছে। মঙ্গলবার ভোটগণনার পর জানা যাবে ফলাফল। বাংলা বরাবরই যে কোনও নির্বাচন চলাকালীন হিংসার কারণে শিরোনামে উঠে আসে। তবে চলতি লোকসভা নির্বাচনে বাংলার সে ‘বদনাম’ কিছুটা হলেও ঘুচেছে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বাংলায় এ বার ভোটে অশান্তি তুলনামূলক কম হয়েছে। যা নিয়ে তারা মোটের উপর সন্তুষ্ট। এ বার দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় ভোটও পড়েছে অনেক বেশি। সাত দফার ভোট শেষে দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy