Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

আপাতত ভাইপো অজিতের হাতেই এনসিপির নাম এবং প্রতীক, সুপ্রিম কোর্ট বলল কাকা শরদকে

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিতের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে ‘আসলএনসিপি’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে শরদ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৫
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা না করা পর্যন্ত অজিত পওয়ারের গোষ্ঠীর হাতেই থাকবে ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিতের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে ‘আসলএনসিপি’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে শরদ পাওয়ারের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার অজিত গোষ্ঠীর জবাব তলব করেছে। পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে বেঞ্চ বলেছে, ‘‘আমরা অভিযোগ-সহ গোটা বিষয়টি যাচাই করে দেখতে চাই।’’

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

ইতিমধ্যেই শরদ গোষ্ঠীর জন্য নতুন নাম বরাদ্দ করেছে কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রতীকের জন্য কমিশনে আবেদন জানাতে বলছে এনসিপির প্রতিষ্ঠাতার গোষ্ঠীকে। সুপ্রিম কোর্ট দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ায় অবশ্য খুশি প্রকাশ করেছেন শরদ। বলেছেন, ‘‘গণতন্ত্রের বড় জয় হল।’’

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধবের আবেদন খারিজ করে দিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীকে দলের নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক তির-ধনুক ব্যবহারের অধিকার দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সেই নির্দেশ খারিজ করেনি শীর্ষ আদালত। শিন্ডের মতোই মহারাষ্ট্রের অন্যতম উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতও এখন বিজেপির সহযোগী।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ জুলাই অজিতের বিদ্রোহের পরেই এনসিপির অন্দরের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল। অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব এবং ভাল দফতর লাভের পরে পরিষদীয় দলের অন্দরে ক্রমশ তাঁর শিবিরের পাল্লা ভারী হতে থাকে। সাংসদদের একাংশও তাঁর দিকে যান। শেষ পর্যন্ত কমিশনের নির্দেশে দলের নিয়ন্ত্রণ গিয়েছে তাঁর হাতেই। কমিশনের রায়ের পরেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরভেকর অজিত গোষ্ঠীকে ‘এনসিপি পরিষদীয় দল’ হিসাবে মর্যাদা দেন। তবে তিনি জানান, শরদ অনুগত বিধায়কদের পদ খারিজ করা হবে না।

১৯৯৯ সালের জুন মাসে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্ব এবং ‘বিদেশে জন্ম’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন শরদ। গড়েছিলেন নতুন দল এনসিপি। সে সময় ভাইপো অজিত ছিলেন তাঁর পাশে। আড়াই দশক পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সেই দলই তাঁর হাতছাড়া হয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শরদগোষ্ঠীর নতুন নাম হবে ‘ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি-শরদচন্দ্র পওয়ার’। তবে দলের নির্বাচনী প্রতীক পরে বরাদ্দ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE