—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসককে সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তা নিয়ে এ বার কমিশনকে চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গের সিভিল সার্ভিস (ডব্লিউবিসিএস) আধিকারিকদের সংগঠন। দাবি করা হল, এই অপসারণ ‘বৈষম্যমূলক’। যে কারণ দেখিয়ে আধিকারিকদের অপসারণ করা হয়েছে, তা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ এবং আধিকারিকদের আবেগ, নীতিতে ধাক্কা দেয় বলেও জানানো হয়েছে। এ-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এর আগের নির্বাচনগুলিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকেরা।
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমের জেলাশাসকদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাই তাঁদের জেলাশাসক পদ থেকে সরানো হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়েছে ওই সংগঠন। তাতে চার জেলার জেলাশাসকের অপসারণের বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকেই নির্বাচনে রাজ্যের আধিকারিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও তা করবেন। ভোটপূর্ব প্রক্রিয়া থেকে ভোটগণনা পর্যন্ত বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা যায় তাঁদের। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার থেকে সহকারী নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন অফিসার পদে নিয়োগ করা হয়।
এর পরেই চিঠিতে অপসারণের কারণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আধিকারিকদের সংগঠন। জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার ওই আধিকারিকদের জেলাশাসকের পদ দিয়েছে। বহু দিন ধরেই ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের এই পদ দেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের ভূমিকা পালন করেছেন। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনেও এই নিয়ে কোনও বাধা নেই। তার পরেও এই অপসারণ ‘বৈষম্যমূলক’ বলেই চিঠিতে জানিয়েছে সংগঠন। এতে তারা ‘স্তম্ভিত, বিভ্রান্ত, হতাশ’। চিঠিতে লেখা হয়েছে, দশকের পর দশক ধরে নির্বাচনের কাজ নিরপেক্ষ এবং দক্ষ ভাবে করে চলেছেন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকেরা। তাঁদের অপসারণের নির্দেশ দিয়ে কমিশন যে চিঠি দিয়েছে, তা ‘দুর্ভাগ্যজনক, অবাঞ্ছিত, আধিকারিকদের আবেগ এবং নীতিতে ধাক্কা দিয়েছে’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy