দলীয় বৈঠকে ভোট নিয়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের নজরে আগেই এসেছিলেন। সেই শো-কজের জবাবের পরে ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। এ বার বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে বিজেপি ভোট-প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করায় অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
শনিবার মল্লারপুরে দলের মহিলা সংগঠনের সভায় দাঁড়িয়ে লকেটকে ‘দলছুট’ বলে বিঁধেই থামেননি অনুব্রত। এমন একটি বিশেষণ প্রয়োগ করেন যা শুনে কানে হাত চাপা দিয়েছেন বিরোধীরা। ‘নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল’, বলে মন্তব্য করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম।
লকেটের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওই বিশেষণটা ওঁদের কাছে খুবই পবিত্র। এর আগে ওদের এক সাংসদও ওই ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন। তবে উনি যত মুখ খুলবেন, তত ওঁদের মুখোশ খুলে পড়বে। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবেন।’’ লিখিত অভিযোগ পেলে কমিশনের আচরণ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসার পি মোহন গাঁধী।
এ দিন অনুব্রতর ওই মন্তব্য যদিও ক্ষুব্ধ করেছে সমাবেশের মহিলাদের একাংশকেও। নামপ্রকাশ না করার শর্তে ময়ূরেশ্বরেরই বহু মহিলা তৃণমূল কর্মী বলেছেন, ‘‘এক জন মহিলা সম্পর্কে দাদা ওই শব্দটি না বললেই পারতেন।’’ তবে এ দিনের সভায় মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী ফাল্গুনি সিংহের দাবি, ‘‘দাদা ও কথা বলেননি। লকেট আগে আমাদের দলে থেকে প্রচারে এসেছিলেন। এখন বিজেপিতে গিয়েছেন। এর বেশি তো কিছু বলেননি।’’
একই দাবি অনুব্রতরও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘লকেটকে দলছুট বলেছি। আপত্তিকর মন্তব্য করিনি।’’ বিরোধীরা যদিও মনে করাচ্ছেন, গত মঙ্গলবারই বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে দলের জেলা কমিটির বৈঠকে অনুব্রতর ভোট-বার্তার কথা। যেখানে তিনি দলের কর্মীদের বিরোধী ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় কমিশনের কাছে অনুব্রতর বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন লকেট। অনুব্রত এ দিন তারই ‘বদলা’ নিলেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। লকেটের সংযোজন: ‘‘অনুব্রতর মন্তব্য তৃণমূলের মহিলাদের পক্ষেও লজ্জা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy