প্রথম দফা ভোটের পর ‘ভূতের রাজার বরে’ ৩% ভোট বৃদ্ধি, পুলিশ অফিসারদের ঠিকানা বদল, ইঞ্চিতে মেপে নেওয়ার প্রছন্ন হুমকি, মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচন কমিশনের শোকজ নোটিস, অনুব্রত মণ্ডলের উপর নজরদারি— সব মিলিয়ে এ রাজ্যর ভোট উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এর মধ্যেই আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট। মোট ৭টি জেলায় ৫৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। আলিপুরদুয়ারে ৫টি, জলপাইগুড়িতে ৭টি, দার্জিলিঙে ৬টি, উত্তর দিনাজপুরে ৯টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬টি, মালদহে ১২টি, বীরভূমে ১১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে আজ। সরকার ও বিরোধী, উভয় পক্ষই বেশ কোমর বেঁধে তৈরি। ভাগ্যপরীক্ষা বহু রথী-মহারথীদের। ব্যালট বাক্সের লড়াইটা এখন প্রেস্টিজ ফাইট। প্রার্থীরা সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে। চাণ্যকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। গৌতম দেব, হরকা বাহাদুর ছেত্রী, অশোক ভট্টাচার্য, রামচন্দ্র ডোম, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সাবিত্রী মিত্র-সহ অন্যরা যখন যুদ্ধক্ষেত্রে ঝাঁপাচ্ছেন, নেপথ্যে কিন্তু ঘুঁটি সাজাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডলরা।
কখনও হুমকি, কখনও ব্যঙ্গ! কখনও তাচ্ছিল্য, কখনও ভুলস্বীকার! সব ক্ষেত্রেই এক অনন্য বাচনভঙ্গি নিয়ে বঙ্গ রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে, বীরভূমে বসেই, বিচরণ করেন অনুব্রত মণ্ডল। নির্বাচন ৭টি জেলাতে হলেও বিশেষ নজরে থাকছে বীরভূম। কারণটা, সেই অনুব্রত মণ্ডলই। নির্বাচন কমিশনের নজরদারির সৌজন্যে আজকের ‘আসলি’ তারকা কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আদরের কেষ্টাই। আজ পরীক্ষা তাঁর শক্তিরও। তবে এত বিতর্ক, সমালোচনার মাঝেও অবিচল তিনি। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন ‘‘বুথে বুথে গুড়-বাতাসা মজুত থাকছে। যখন যাকে প্রয়োজন হবে দেব। মিডিয়াকেও গুড়-বাতাসা দেব।’’ বলেছেন ‘‘আমাকে জব্দ করার ক্ষমতা কার আছে? ভোট করার জন্য কর্মীরা রেডি।’’
‘‘ভোট মানেই উত্সব। সন্ধের পর ঢাক বাজবে।’’ মন্তব্য বীরভূমে তৃণমূলের প্রধান সংগঠকের। কিন্তু, ঢাকটা যে কার বাজবে তা নির্ধারণ করবেন মানুষই। ফলাফল যদিও জানা যাবে ১৯ মে, কিন্তু হিসেবটা বাক্সবন্দি হবে, আজই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy