সোমবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে নির্বাচনী জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
করোনার টিকা নিয়ে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, রাজ্য সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে টিকা কেনার আর্জি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হলেও তার জবাব দেননি তিনি। সেই সঙ্গে অভিষেকের দাবি, বাংলায় সংক্রমণের বাড়লেও, তা নিয়ে চিন্তিত নন মোদী। সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে নির্বাচন কমিশনের ৮ দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্তই দায়ী বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিষেক।
সোমবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে নির্বাচনী জনসভা করেন অভিষেক। আউশগ্রামের স্কুল মাঠের ওই সভায় নিজের ভাষণে অভিষেক বলেন, “বাংলায় টিকা আসছে না। অথচ বাংলাদেশে টিকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিকা পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। প্রয়োজনে টাকা দিয়ে টিকা কিনবে বাংলা। কিন্তু সে চিঠির কোনও উত্তর আসেনি।”
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণে বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবিত নন বলেও দাবি করেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে চিন্তিত নন।” যদিও অভিষেকের এই দাবি উড়িয়ে বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায়ের পাল্টা দাবি, “কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষেধক পাঠাচ্ছে। কিন্তু, তা নিয়ে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।”
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশেই দ্রুত গতিতে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। এই আবহে এ রাজ্যে ৮ দফায় ভোট করানোর জন্য কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন অভিষেক। তাঁর মন্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এক দফায় ভোট করার জন্য। কিন্তু তা মানেনি কমিশন।”
নীলবাড়ির লড়াইয়ের ষষ্ঠ দফায় আগামী ২২ এপ্রিল আউশগ্রাম আসনে ভোট। তার আগে এই সভা থেকে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্য ভোটপ্রচারে আসা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “দিল্লি থেকে লোক ভাড়া করে আনছে। তবুও লোক হচ্ছে না। যে রাজনৈতিক দল টাকা খরচ করেও সমর্থন পায় না, তারা বলছে সোনার বাংলা গড়বে। ষষ্ঠ দফার ভোটে ছক্কা মেরে হাঁটু ও মাজা ভাঙবে বাংলার মানুষ।” তবে অভিষেকের এই দাবিকে পাত্তা দিতে নারাজ শ্যামল। তিনি বলেন, “কে কার মাজা ভাঙবে, তা ২ তারিখেই বোঝা যাবে। বাংলার মানুষ ঠিক করে নিয়েছেন যে, বিজেপি জিতবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy