বাঁ দিক থেকে বীরবাহা হাঁসদা ও মধুজা সেনরায়। নিজস্ব চিত্র
ঝাড়গ্রামে সম্মুখসমরে দুই সহপাঠী। এক জন ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদা। অপর জন ওই কেন্দ্রেরই সিপিএম প্রার্থী মধুজা সেনরায়।
সহপাঠী আবার ‘শত্রু’ও বটে। দীর্ঘ দিন পর ভোট মিলিয়ে দিল ওঁদের দু’জনকে। বুধবার মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে হঠাৎ দেখা হয়ে যায় দু’জনের। প্রথমে দীর্ঘ দিন পর চেনা মানুষকে দেখে আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগে বীরবাহা এবং মধুজা দু’জনেরই। তার পর স্বতঃসিদ্ধ ভাবে দু’জনের মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে, ‘‘কী রে তুই? কত দিন পর দেখা!’’ এর পর যত সময় গড়িয়েছে প্রাথমিক সৌজন্যের সীমারেখা পেরিয়ে দুই বান্ধবীর আলাপচারিতা প্রবেশ করেছে গভীরে, ছেলেবেলার স্মৃতিচারণায়।
মধুজার বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরে। আর বীরবাহা আদতে বিনপুরের বাসিন্দা। দুই বান্ধবী জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রামের রানি বিনোদমঞ্জরী বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন তাঁরা। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তাঁরা এক সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন।
আগামী লড়াইয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বীরবাহা এবং মধুজা। রাজনীতির লড়াইয়ে কি পড়বে দু’জনের বন্ধুত্বের প্রভাব? বীরবাহা বলছেন, ‘‘আমরা যে যার মতো নীতিতে বিশ্বাস করি। ওর সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হল। কথা হল। ভাল লাগল।’’ আবার মধুজা বলছেন, ‘‘রাজনৈতিক মতাদর্শ নিজের নিজের। সে জন্য ছোটবেলার সম্পর্ক নষ্ট হবে এমনটা নয়। আবার এটাও ঠিক কথা, বন্ধু বলে লড়াইয়ের ময়দানে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলব এটা আমি মনে করি না। আবার ও নিশ্চয় মনে করে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy