আঘাতপ্রাপ্ত পা নিয়ে দলনেত্রীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য বিশেষ তৎপর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র।
পুরুলিয়ার পর এ বার বাঁকুড়া। হুইল চেয়ারেই জেলার ভোটপ্রচারে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শালতোড়া বিধানসভা এলাকার মেজিয়া হাইস্কুল মাঠ, ছাতনা বিধানসভা এলাকার অনুকূল ঠাকুর আশ্রম মাঠ এবং রাইপুর বিধানসভার রাইপুর সাবু সঙ্ঘের মাঠ— এই তিন জায়গায় জনসভা রয়েছে তাঁর। জেলা নেতৃত্বকে আগেই মমতার সফরের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতো সমস্ত প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছে।
আঘাতপ্রাপ্ত পা নিয়ে দলনেত্রীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য বিশেষ তৎপর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সমস্ত সভামঞ্চেই কাঠের পাটাতন বসিয়ে র্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। যাতে মঞ্চে হুইল চেয়ারে বসিয়ে দলনেত্রীকে তুলতে এবং নামাতে কোনও সমস্যা না হয়। একই ভাবে হেলিকপ্টারে ওঠানামার জন্যও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে হেলিপ্যাডে। থাকছে বিশেষ গাড়িও।
ওই পা নিয়েই তৃণমূলনেত্রী যে প্রচার কর্মসূচিতে বেরোবেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন মমতা। এসএসকেএম থেকে বাড়ি ফিরে প্রচারের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছিলেন। তার প্রথম প্রতিফলন দেখা যায় রবিবার। ওই দিন কলকাতায় তৃণমূলের মিছিলে অংশ নেন তিনি। হুইল চেয়ারে বসে মেয়ো রোডের গাঁধীমূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করেন। ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন যদিও। এর পর সোমবার পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি এবং বলরামপুরেও দু’টি সভা করেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নন্দীগ্রাম থেকে আহত হয়ে ফিরেছিলেন। পরবর্তী জেলাসফরে তিনি আগামী ১৯ এবং ২০ মার্চ ফের নন্দীগ্রামে যেতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি সভা করবেন বলে লেখা হয়েছিল। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy