মমতার সভায় ফাঁকা রইল মাঠ।
নারদ যে আদ্যন্ত ‘ভেজাল’, আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। নারদ-সুতোয় জড়িয়ে যাওয়া নেতাদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারেও তাঁর যে বিশেষ অস্বস্তি নেই— কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম কিংবা সুব্রত মুখোপাধ্যাযের সঙ্গে চৈত্র-রোদের প্রচারে বেরিয়ে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘জাল ভিডিও’-র তত্ত্ব থেকে এক চুলও না-নড়া তৃণমূলনেত্রী এ বার পাল্টা শাসাচ্ছেন— ‘‘কত টাকা নেওয়া হয়েছে, বড়জোর ৫০ থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে এক কোটি টাকাও নয়। আর, তোমরা কত কোটি টাকা নিয়েছ, তার কোনও তদন্ত হয়েছে?’’
তার পর বিরোধীদের উদ্দেশে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন পাল্টা হুমকি, ‘‘এ বার আমরা যদি স্টিং শুরু করি তাহলে ভাল হবে?’’
বুধবার, নদিয়ার গয়েশপুরের সভায় মমতার চোখ রাঙানিতে অবশ্য অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাই। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘দিদি টাকার অঙ্ক যৎসামান্য প্রমাণ করতে গিয়ে দলের নীতির প্রশ্নটাই উড়িয়ে দিলেন। পাশ কাটিয়ে যাওয়ার এই পন্থা কি মানুষ ভাল ভাবে নেবে!’’
এ দিন স্থানীয় টাউন ক্লাবের মাঠে মমতা শুরুই করেন, ‘‘আমরা জানি এর পিছনে কারা রয়েছে। কারা এ সব করেছে, কারা করিয়েছে, কাদের টাকা রয়েছে, কোন দেশ থেকে টাকা এসেছে। আমরাও চাই এর তদন্ত হোক। আর আসল সত্য যে দিন প্রকাশ পাবে, সেদিন কিন্তু, কাউকে ছাড়া হবে না।’’
সালারে ববি হাকিম। নিজস্ব চিত্র।
তবে, নারদ সুতোয় জড়িয়ে যাওয়া ফিরহাদ হাকিম অবশ্য এ দিন তাঁর জেলা সফরে নারদ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই ছিলেন। বুধবার, মুর্শিদাবাদের কান্দিতে এসে বিরোধী কিংবা জোট প্রসঙ্গে তোপ দাগলেও পরে তাঁকে নারদ নিয়ে প্রশ্ন করলে পাশ কাটিয়ে গাড়িতে উঠে যান। স্পষ্টই বিব্রত ফিরহাদকে ‘রক্ষা’ করতে এগিয়ে আসেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
যা দেখে, সদ্য কংগ্রেস থেকে দলবদল করা এক তৃণমূল নেতা বলছেন, ‘‘এ ভাবে কি দায় এড়ানো যায়? এতে তো দলেই মুখ পুড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy