ডিসি সেন্ট্রালের কার্যালয়ে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মী শুভাশিস রায়চৌধুরী (বাঁ দিকে) এবং আমিনুর রহমান। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালের কার্যালয়। মঙ্গলবার বেলা তখন ১২টা হবে। জোড়াসাঁকো থানার ওসি ঢুকলেন সেখানে। তার পর পরই পৌঁছলেন ঘুষ-কাণ্ডে জড়িত কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের দুই কর্মী শুভাশিস রায়চৌধুরী এবং আমিনুর রহমান। তাঁদের নামে বিজেপি নেতাকে ঘুষ দিতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, গরু পাচারের সুবিধা করে দিতে রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিংহকে প্রচুর টাকা দিতে চেয়েছিলেন তাঁরা। ‘হাতেনাতে’ ধরা পড়ার পরই জোড়াসাঁকো থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ওই দুই কর্মীকে।
রাহুলবাবু গোড়া থেকেই ঘটনার পিছনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে বলে দাবি করছিলেন। মন্তব্য করেছিলেন, মমতার নির্দেশে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীবকুমারই এ কাণ্ড করিয়েছেন। সত্যিই কি তাই? ডিসি সেন্ট্রালের কার্যালয়ে ঢোকার মুখে প্রশ্ন করা হয় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মীকে। শুভাশিসবাবু কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু, আমিনুর বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। পরে সব জানতে পারবেন।’’
আরও পড়ুন
বিজেপি অফিসে ঘুষ দিতে গেল পুলিশ, অভিযোগ পাল্টা স্টিং ছকের
এ দিন ঘণ্টা দুয়েক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই দু’জনকে। বেলা দুটো নাগাদ ডিসি সেন্ট্রালের কার্যালয় থেকে পুলিশি ঘেরাটোপে বের করে নিয়ে আসা হয় তাঁদের। সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে সাসপেন্ড হওয়া ওই দুই পুলিশকর্মীকে একটি ট্যাক্সিতে তুলে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy