ভোট দিতে চান তিনি। ভোটদানের সুযোগ দেওয়া হোক। মঙ্গলবার বিচারকের কাছে এই অনুরোধ করেন জেলবন্দি তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ। তাঁর আর্জি, ‘‘পোস্টাল ব্যালট বা বুথ, যেখানেই হোক, আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হোক।’’ তাঁর আর্জি শুনে কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
কুণাল এ দিন বিচার ভবনে বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলের মনোনীত সাংসদ। দল আমাকে সাসপেন্ড করেছে। আমার কোনও অনুগামী নেই। তা হলে আমি প্রভাবশালী থাকলাম কী ভাবে?’’ তাঁর অভিযোগ, দেড় বছর তাঁকে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তিনি জেলে অনশন শুরু করার পরে মায়ের দেখা পান। তখনও জালের অন্য প্রান্ত থেকে সাধারণ কয়েদিদের মতো তাঁকে কথা বলতে হয়েছে মায়ের সঙ্গে। ‘‘তা হলে আমি প্রভাবশালী থাকলাম কী করে,’’ প্রশ্ন কুণালের। প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের নাম না-করেই কুণাল মন্তব্য করেন, অনেকে তো জেলের মধ্যে পরিবারের লোকের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
তিনি যে প্রভাবশালী নন, সেটা বোঝাতে কুণাল অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গেলেই তাঁকে ধরে টানাহেঁচড়া করা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘প্রভাবশালী হলে কি পুলিশ আমাকে ছুঁতে পারত? অথচ অনেকেই আদালত থেকে বেরোনোর সময় বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছেন।’’ মদনবাবুর নাম না-করে কুণালের অভিযোগ, সারদা-কাণ্ডের মতো অর্থনৈতিক অপরাধের ক্ষেত্রে কেউ প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা পেতে পারেন না। অথচ কেউ কেউ তো ওই মর্যাদা পাচ্ছেন।
তাঁকে যে-ভাবে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করে কুণালের আবেদন, ‘‘আদালত পুরো বিষয়টা সাদা চোখে দেখুক। আদালত তো অন্ধ হতে পারে না।’’
৫ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy