সিপিএম প্রার্থীর প্রচারের ফ্লেস্ক ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের নাড়ুয়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দননগর বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী গৌতম সরকারের সমর্থনে শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচারের জন্য ফ্লেস্ক লাগানো হয়। চন্দননগর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নাড়ুয়ার সত্যেন ঘোষ লেনে একটি বড় প্রচার ফ্লেস্ক সোমবার রাতে কে বা কারা ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেয়। মঙ্গলবার সকালে দলীয় কর্মীদের চোখে পড়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রার্থী থেকে দলীয় নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছলে একে একে জড়ো হতে থাকেন এলাকায়।
সিপিএমের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের ফ্লেস্ক ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেয়। এই কাজ করার আগে দুষ্কৃতীরাই এলাকায় বসে মদ্যপান করে এবং প্রমাণ রাখার জন্য সবুজ আবির ফেলে রাখে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, সিপিএম একা চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই কংগ্রেসের কাঁধে ভর রেখে চলতে হচ্ছে তাদের। দুই দলের জোটকে যারা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে।
এ দিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সিপিএমের পক্ষ থেকে থানায় এবং নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। চন্দননগরের সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য হিরালাল সিংহ বলেন, ‘‘নির্বাচনের মুখে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াইয়ে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। তাই সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা।’’ তিনি আরও জানান, তৃণমূলের দলীয় কোন্দল যতই জটিল হচ্ছে, ততই পতনের আশঙ্কায় রাজ্য জুড়ে তৃণমূল যে ভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে এখানে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’’ চন্দননগর পুরসভার ১ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের দলের এমন দুর্দিন আসেনি যে সিপিএমের প্রচার ফ্লেস্ক ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে। সিপিএমের পায়ের তলার মাটি ক্রমশই সরে যাচ্ছে। নিজেদের একা চলার ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে বলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়াতে হচ্ছে। এই জোটকে যাঁরা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরাই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের দলের বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’