Advertisement
E-Paper

Bengal Polls: দ্বিতীয় পর্বের ৫৩% বিজেপি প্রার্থী অভিযুক্ত

প্রার্থীদের দায়ের করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য তুলে ধরেছে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’ এবং ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২১ ০৬:১৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফার ভোটে বিজেপির যে-সব প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৬ জনের বিরুদ্ধেই গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। প্রার্থীদের দায়ের করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য তুলে ধরেছে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’ এবং ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর)। শতাংশের হিসেবে বিজেপির ৫৩ শতাংশ প্রার্থী গুরুতর অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফার ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিল করা পাঁচ জন তৃণমূল প্রার্থী এবং চার জন সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সব দল মিলিয়ে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে মোট ৩৬ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

১ এপ্রিল রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটে চারটি জেলার ৩০টি আসনে মোট ১৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বিজেপি ও তৃণমূল সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে ১৫টি আসনে। ন’টি আসনে লড়ছে কংগ্রেস। ওই দফাতেই ভোট হবে নন্দীগ্রামে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সেখানে প্রার্থী।

বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’ জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার ভোটে ১৫ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। সব দল মিলিয়ে প্রার্থীদের মাথাপিছু গড় সম্পদের পরিমাণ ৯২ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। বিজেপির ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন কোটিপতি। তৃণমূলের ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি ১১ জন।

হলফনামা বিশ্লেষণের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফার ভোটে সম্পদের নিরিখে সব থেকে ধনী পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। ওই প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৯ কোটি টাকারও বেশি। দ্বিতীয় কাকদ্বীপের বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর জানা এবং তৃতীয় বাঁকুড়ার তালড্যাংরার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে ১৪ কোটি এবং আট কোটিরও বেশি টাকা।

দ্বিতীয় দফার প্রার্থীদের রিপোর্ট বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে, ৩৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মধ্যে। ১০১ জন প্রার্থী স্নাতক বা তার বেশি পড়াশোনা করেছেন। ওই দফার এক জন প্রার্থী নিরক্ষর এবং চার জন প্রার্থী সাক্ষর বলে হলফনামায় জানিয়েছেন। ৩৩ জন প্রার্থীর বয়স ষাটের বেশি।

নারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত লোকজন বারে বারেই বলেছেন, নির্বাচনে নারীদের প্রতিনিধিত্ব ও লিঙ্গসাম্যের বিষয়টি ঠিক সে-ভাবে প্রতিফলিত হয় না। দ্বিতীয় দফার ভোটের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মহিলা প্রার্থীর হার মাত্র ১১ শতাংশ।

BJP candidates
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy