বর্ধমানে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। —নিজস্ব চিত্র
প্রথম দফা থেকেই বাংলার মানুষ একতরফা ভোট দিচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থনে। মমতার সরকারকে বিদায় জানাতে চান তারা। শুক্রবার বর্ধমানে রোড শোয়ে এসে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। তাঁর আরও দাবি, বর্ধমান উত্তর এবং দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি- র প্রার্থীরাই মানুষের আশীর্বাদ পাবেন।
নীলবাড়ির লড়াইয়ের প়ঞ্চম দফায় আগামী ১৭ এপ্রিল বর্ধমান উত্তর এবং দক্ষিণ কেন্দ্রে ভোট। ওই দুই কেন্দ্রে বিজেপি-র হয়ে লড়ছেন যথাক্রমে রাধাকান্ত রায় এবং সন্দীপ নন্দী। শুক্রবার বিকেলে তাঁদের সমর্থনে বিজয়রাম থেকে বাজেপ্রতাপপুর পর্যন্ত রোড শো করেন নড্ডা। ওই রোড শোয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। নড্ডা বলেন, ‘‘এই ভোট শুধুমাত্র বিধায়ক নির্বাচনের জন্য নয়, তা বাংলার ভাবমূর্তি এবং ভাগ্য বদলানোরও জন্য।’’ শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করে নড্ডার মন্তব্য, ‘‘তোলাবাজি, সিণ্ডিকেটরাজ, কয়লাচুরি, বালিচুরি, চালচুরি ও তোষণের বিরুদ্ধে জবাব দেবেন বাংলার মানুষ। বাংলায় অপরাধের রাজনীতিকরণ আর রাজনীতির অপরাধীকরণ হয়েছে। সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধে। পিসি-ভাইপোর সরকারকে বিদায় জানাচ্ছে মানুষ। এ সবের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন।’’
মমতার আমলে রাজ্যে অপরাধের সংখ্যা বে়ড়েছে বলেও দাবি নড্ডার। তিনি বলেন, ‘‘মমতা’জি নিজেকে বাংলার মেয়ে, দিদি বলেন। কিন্তু গত ১০ বছরে বাংলায় সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, অ্যাসিড হামলা হয়েছে। বাংলায় বিকাশের জন্য, নারী ও যুবসমাজের জন্য পদ্ম চিহ্নে ভোট দিতে হবে। এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে।’’
শুক্রবার নড্ডার রোড শো নিয়ে ২ ঘণ্টা ধরে টালবাহানা চলে। জমায়েত লোকজন কম হওয়ায় তাঁর রোড শো ৩টের পরিবর্তে ৫টায় শুরু হয়। তা সত্ত্বেও তাতে ভিড় চোখে পড়েনি। তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘বিহার থেকে এ বার লোক আসেনি। তাই এ বার ভিড় পাতলা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy