ডুবুরডিহিতে নজরদারি। ছবি: পাপন চৌধুরী
জেলায় ভোটগ্রহণ পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সীমানা এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চোখে পড়েছেশনিবার থেকেই।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের সঙ্গে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানাবর্তী নানা এলাকা। সেগুলি: কুলটির ডুবুরডিহি চেকপোস্ট, বরাকরের বেগুনিয়া, রূপনারায়ণপুরের বিহার রোড, চিত্তরঞ্জনের ১ নম্বর গেট, বারাবনির রুনাকুড়া ঘাট। এ ছাড়া, ডিসেরগড়ের সঙ্গে রয়েছে পুরুলিয়ার সীমানা। রয়েছে, মাইথন, সিদাবাড়িতে দামোদর ও বরাকর নদের উপরে
থাকা জলপথও।
আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার মিতেশ জৈন জানান, আসানসোলের পাঁচটি জায়গায় পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। সেখানে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি, র্যাফ রয়েছে। শনিবার রাত থেকেই সীমানা এলাকায় চলছে নজরদারি, ‘নাকা-চেকিং’। জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, শনিবার ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জেলা প্রশাসন ঝাড়খণ্ডে যাতে নাকা-চেকিং হয়, সে অনুরোধ করেছে। ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমানা এলাকায় ড্রোন-নজরদারি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, মাইথন, সিদাবাড়িতে জলপথগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে ডিসেরগড়ের পুরুলিয়ার সীমানা ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। জেলা জুড়ে রয়েছে ৪৩টি
‘নাকা পয়েন্ট’।
পাশাপাশি, কড়াকড়ি নজরে এসেছে দুর্গাপুরেও। বীরভূম থেকে অজয় পেরিয়ে যাতে কেউ শহরে ও জেলায় ঢুকতে না পারেন, সে জন্য শিবপুর ঘাটে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া, ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার গৌরবাজার এলাকায় অজয়ের মাঝ বরাবর হেঁটে আসা-যাওয়া করার পথ রয়েছে। সেখানেও রয়েছে পুলিশের পাহার। দুর্গাপুর শহরে ঢোকার বিভিন্ন মোড়েও আলাদা করে চেকিংয়ের ব্যবস্থা রেখেছে পুলিশ। লাউদোহা ও পাণ্ডবেশ্বরের দিক থেকে দুর্গাপুরে ঢোকার মুখে সবুজনগর এলাকায় নির্বাচন ঘোষণার পরে থেকেই নাকা চেকিং করছে পুলিশ। নজর রাখা হচ্ছে মলানদিঘি, বামুনাড়া প্রভৃতি এলাকাতেও।
তবে, সীমানা এলাকায় পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে ‘সন্তুষ্ট’ নয় বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘বহিরাগতদের রুখতে আরও আগে থেকে কড়াকড়ির দরকার ছিল।’’ দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘সীমানা পেরিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জেলায় ঢোকে। এটা পুলিশ কতটা রুখতে পারবে, সেটাই এখন দেখার।’’ যদিও তৃণমূলের অন্যতম জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বহিরাগতদের নিয়ে আসা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়। ওটা বরং বিজেপির সংস্কৃতি।’’
(সহ প্রতিবেদন: সুব্রত সীট)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy