গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনায় যে দু’টি আসন তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছিল, তার মধ্যে ব্যারাকপুর অন্যতম। ভোটের ফল প্রকাশের পরে রাজ্যের আর কোনও এলাকায় এমন হানাহানি হয়নি। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছিল একাধিক পুরসভাও। পরে সেগুলি পুনরুদ্ধারও হয়েছে। সেই পুনরুদ্ধারের কাজে সামনের সারিতে ছিলেন যাঁরা, প্রার্থী তালিকায় তাঁদের ঠাঁই দিয়ে বিজেপিকে কড়া বার্তাই দিল তৃণমূল। তারই মধ্যে চমক ব্যারাকপুরে রাজ চক্রবর্তী।
হালিশহরের ভূমিপুত্র রাজ নিজেকে ‘ঘরের ছেলে’ বলে ভাবলেও এলাকায় তাঁকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত শাসক শিবির। তাঁকে ‘বহিরাগত’ প্রার্থী হিসেবেই দেখছে স্থানীয় তৃণমূলের একাংশ। অন্তর্দ্বন্দ্বে বিরক্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের অন্য অংশ ‘সেলিব্রিটি’ প্রার্থী পেয়ে খুশি। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই ‘বেসুরে’ বাজতে শুরু করেছেন ব্যারাকপুরের বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম দাস। তিনি নিজে এখানকার প্রার্থী পদের দাবিদার ছিলেন।
এ দিন পুরসভায় উত্তমবাবু বলেন, “দল আমাদের বুঝিয়ে দিল, এখানে যোগ্য প্রার্থী নেই। যদিও আমি দলের কর্মী ছিলাম, থাকব। তবে আগে বাইরে থেকে যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছিল, সেই শীলভদ্র দত্ত, দীনেশ ত্রিবেদীরা মিরজাফর হয়ে দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আবার কোন মিরজাফরকে দেওয়া হচ্ছে, আমি জানি না। মানুষকে তো জোর করে কিছু করা যাবে না।” বিদায়ী বিধায়ক শীলভদ্রবাবু বিজেপিতে যাওয়ার আগেই অভিযোগ করেছিলেন, গত বিধানসভা ভোটে তাঁকে হারাতে অন্তর্ঘাত হয়েছিল। রাজকে প্রার্থী করে সেই অন্তর্ঘাত ঠেকানো যাবে কি না, তা নিয়ে দলেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।