সপ্তম দফা ভোটের আগে রানিগঞ্জের ভোটারদের টাকা বিলির অভিযোগ উঠল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। রবিবার এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পশ্চিম বর্ধমানের হোটেলে হানা দেন পুলিশ এবং নির্বাচনী আধিকারিকেরা। যদিও টাকা বিলির অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি-র দাবি, তৃণমূল এবং সিপিএমের কথায় দলের লোকদের হেনস্থা করছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় বিজেপি-কে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
রবিবার রানিগঞ্জের একটি হোটেলে ঘণ্টাখানেক তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। হোটেলের ২১৩ নম্বর ঘরে ছিলেন বিজেপি-র এক নেতা রমেশ রায়। অভিযোগ, হোটেলের ওই ঘরের দরজা ভেঙে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েন রানিগঞ্জ থানার পুলিশকর্মীরা। এর পর ঘরের বিছানা থেকে শুরু করে রমেশের জিনিসপত্র তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তথাগত পাণ্ডে বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের দল হোটেলে অভিযান চালিয়েছে। তবে সেখান কিছু পাওয়া যায়নি।”
সোমবার সপ্তম দফা ভোটের আগে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা রমেশকে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন রানিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বিজন মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “তৃণমূল এবং সিপিএমের কেউ এ অভিযোগ করেছে। হোটেলের ঘর থেকে আমরা নাকি টাকা বিলি করছি। বিজেপি-র লোকেরা এ ধরনের জঘণ্য কাজ করে না। রমেশ রায়কে হেনস্থা করা হয়েছে। এতে হোটেলের সুনামও নষ্ট হয়েছে। আমি মানুষের আশীর্বাদ চাই, অভিশাপ নয়।”