ভ্রমণ এবং পর্যটন ক্রমশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ভিত্তি হয়ে উঠছে। পরিবহণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার যত উন্নতি হচ্ছে, পৃথিবীর অনেক অচেনা স্থানও পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। একটানা কাজের ফাঁকে সকলেই চান কয়েকটা দিন ঘুরে আসতে। কিন্তু সেই ঘুরে বেড়ানোই যদি হয় পেশা— তা হলে বোধহয় সহজে স্বপ্ন পূরণ হয়। তা সম্ভব হতে পারে। ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম নিয়ে পড়াশোনা করলে।
কেউ কেউ দ্বাদশ শ্রেণির পর এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন। অনেকে আবার অন্য কোনও বিষয়ে স্নাতক হওয়ার পরেও এই বিষয়ে নিয়ে স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা পড়ছেন। কিন্তু কাজের কেমন সুযোগ রয়েছে তার পর?
প্রথমত, এই বিষয় নিয়ে পড়ার পর নিজেই একটি ভ্রমণ সংস্থা খুলে ফেলা যায়। ডিগ্রি না থাকলেও যে তা করা যায় না, এমন নয়। তবে পড়াশোনা করে এ কাজে নামলে সংস্থার কাজ পরিচলনায় অনেক সুবিধা হয়। খুঁটিনাটি বিষয়গুলি নজরে রাখা সম্ভব হয়।
এ বার আসা যাক চাকরির কী কী সুযোগ সুবিধা রয়েছে, সে প্রসঙ্গে—
সরকারি সুযোগ:
রাজ্য অথবা কেন্দ্রীয় পর্যটন দফতরে পর্যটন কর্মকর্তা পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বছরে অনেক সময়ই এই পদে নিয়োগের জন্য পর্যটন দফতরের সরকারি ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্র যেগুলি সরকার অধীনস্থ, সেখানেও সাংস্কৃতিক নির্দেশক পদে চাকরির সুযোগ থাকে। সরকারি অথবা আন্তর্জাতিক পর্যটন কাউন্সেলিং-এ ট্রাভেল ডেস্ক অফিসার পদেও চাকরির সুযোগ রয়েছে।
ভ্রমণ সংস্থার কাজ:
এ ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় পর্যটন গাইড, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্রাভেল কোঅর্ডিনেটর, ভ্রমণ পরামর্শদাতা পদেও চাকরির সুযোগ থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং:
এখন প্রায় সমস্ত কাজই প্রযুক্তি নির্ভর। কোথাও ঘুরতে যাওয়া পরিকল্পনাও মুঠোফোনের মাধ্যমেই ঠিক করে নেওয়া যায়। অনলাইনেও বুকিং করে নেওয়া হয় হোটেল, ঘুরতে যাওয়ার প্যাকেজ। তাই অনলাইনে এই কাজগুলি যাতে সহজে করা সম্ভব হয়, সে জন্যও ডিজিটাল মার্কেটিং-র লোক নিয়োগ করা হয়। সে ক্ষেত্রে যদি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম নিয়ে পড়াশোনা থাকে, তা হলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।
ব্লগ ও ভ্লগ:
সব শেষে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। তা হল ‘ব্লগিং’ এবং ‘ভ্লগিং’। কোনও ভ্রমণ স্থানের খুঁটিনাটি যদি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করা যায়, সেখান থেকেও বেশ ভাল সাড়া আসে ভ্রমণপ্রেমীদের। আর তাতে উপার্জনের পথও খোলা থাকে।