Advertisement
E-Paper

সময়ের আগেই মেধা তালিকা প্রকাশে তৎপর এসএসসি, সুপ্রিম কোর্টে দায়ের ক্যাভিয়েট

সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হয়েছে ক্যাভিয়েট। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কোন‌ও চাকরিপ্রার্থী বা পরীক্ষার্থীরা শীর্ষ আদালতে মামলা করলে এসএসসি-কে তা জানাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৬

সংগৃহীত চিত্র।

নতুন মামলার ফলে যাতে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ ভেস্তে না যায়, তা নিয়ে সতর্ক স্কুল সার্ভিস কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশিত সময়সীমার আগেই মেধা তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে তৎপর তারা।

সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হয়েছে ক্যাভিয়েট। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন‌ও চাকরিপ্রার্থী বা পরীক্ষার্থীরা শীর্ষ আদালতে মামলা করলে এসএসসি-কে তা জানাতে হবে। না জানিয়ে মামলা করলে তা যেন গৃহীত না হয়।

এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “হয়তো একটি মামলার রায় হওয়ার পরে তা শীর্ষ আদালতে নতুন করে বিচার হয়ে গেল। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানে না। এমন পরিস্থিতি রুখতেই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, আগেও এসএসসিকে না জানিয়ে একাধিক বার চাকরিপ্রার্থী বা পরীক্ষার্থীরা মামলা করায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। এ বার তা যেন না হয়, তাই আগেভাগেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

দীর্ঘ আট বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জট কাটতে চলেছে। ১৪ হাজার ৫২টি শূন্য পদে নিয়োগের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি মেধা তালিকা থেকে বাদ পড়া ১ হাজার ৪৬৩ জনকে যুক্ত করে চার সপ্তাহের মধ্যে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করে সুপারিশপত্র দেবে এসএসসি-- এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে এ নিয়ে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। লিখেছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে তিনি আশাবাদী যে পুজোর আগেই চাকরি প্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটবে।

শিক্ষক মহলের একাংশ জানান, উচ্চ প্রাথমিকে ঘোষিত শূন্যপদ রয়েছে ১৪,৩৩৯। তবে মোট প্রার্থী রয়েছে ১৪ হাজার ৫২ জন। যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা তার চেয়ে অনেকটাই কম। যাঁদের কিছু বিষয় ধোঁয়াশা বা ওএমআর শিটে অস্বচ্ছতা ছিল, এই তালিকা থেকে তাঁদের বাদ দেওয়া হবে হাইকোর্টের নির্দেশে। ‌ফলে অধিকাংশ চাকরি প্রার্থীরাই চাকরি পেয়ে যাবে বলে মনে করছে শিক্ষক মহল।

SSC Upper Primary
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy