Advertisement
E-Paper

এক লাফে বাড়ল চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষকদের মাসিক ভাতা, কত হল?

এত দিন পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার প্রশিক্ষকদের মাসিক ভাতা ছিল ১০,১৯০ টাকা। অভিজ্ঞতার বৃদ্ধিতে ধাপে ধাপে ন্যূনতম ভাতা কাঠামোর পরিবর্তন করল সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ১৬:১৫

প্রতীকী চিত্র।

স্কুল স্তরে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার প্রশিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার। এত দিন পর্যন্ত তাঁদের মাসিক ভাতা ছিল ১০,১৯০ টাকা। অভিজ্ঞতার বৃদ্ধিতে ধাপে ধাপে ন্যূনতম ভাতা কাঠামোর পরিবর্তন করল সরকার। এক লাফে ভাতা বাড়ল ৭ হাজার টাকা।

রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সমস্ত বিভাগের চুক্তি ভিত্তিক আইসিটি কম্পিউটার প্রশিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেলফ হেল্প গ্রুপ ও এমপ্লয়মেন্ট ডিপার্টমেন্ট। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষকদেরও ভাতা বৃদ্ধির আওতায় আনা হয়েছে । চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার প্রশিক্ষকদের ন্যূনতম মাসিক ভাতা বেড়ে হল ১৭,০০০ টাকা।

এ প্রসঙ্গে আইসিটি কম্পিউটার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের স্টেট কমিটি সদস্য ভূপেশ কেশ বলেন, “মূল্য বৃদ্ধির বাজারে যে ভাতা এত দিন দেওয়া হত তা দিয়ে সংসার চালান কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ আমাদের কথা তিনি ভেবেছেন এবং ভাতা বৃদ্ধি করেছেন।”

চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার প্রশিক্ষকদের কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে ভাতা কাঠামো বৃ্দ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোন‌ও কর্মী পাঁচ বছর ধরে টানা কাজ করলে তাঁর ন্যূনতম বেতন হবে ২১,০০০টাকা। দশ বছর কাজ করলে তার ন্যূনতম বেতন হবে ২৬,০০০ টাকা আর ১৫ বছর কাজ করলে ন্যূনতম বেতন হবে ৩২,০০০০ টাকা। কেউ যদি ২০ বছর ধরে কাজ করেন, তখন তিনি বেতন পাবেন ন্যূনতম ৩৯,০০০ টাকা।

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, “অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভাতা বৃদ্ধির স্ল্যাব সংক্রান্ত আমাদের প্রস্তাবনাই আলোচনায় গৃহীত হয়েছিল। তবে শুধু প্রশিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধি করলে হবে না কম্পিউটার ল্যাবরেটরির পরিকাঠামো এবং স্কুলে পাঠ্য বিষয়ভিত্তিক গুরুত্ব বাড়াতে হবে। সমস্ত স্কুলেই কম্পিউটার প্রশিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।”

বর্ধিত ভাতা চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন ম‌ণ্ডল বলেন, “আইসিটি কম্পিউটার শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানালেও, চুক্তি প্রথার বিরুদ্ধে আমরা। বহুদিন ধরে পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকা, এমএসকে, এসএসকে-র শিক্ষক ও সমগ্র শিক্ষার কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। সেটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কেন? প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমল থেকেই ফাইল ঠান্ডা ঘরে পড়ে আছে।”

২০১৩ সালে রাজ্য সরকার স্কুল ও দফতরগুলিতে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার প্রশিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয় পাঁচ ধাপে। স্কুল স্তরে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক পদে প্রায় ৫৬০০ নিয়োগ হয়েছে। নারকেলডাঙ্গা হাইস্কুলের কম্পিউটার প্রশিক্ষক সুমন বিশ্বাস বলেন, “ভাতা বৃদ্ধি করেছে তা অত্যন্ত ভাল খবর। কিন্তু বর্তমান মূল্য বৃদ্ধির বাজারের কথা মাথায় রেখে ভাতার অঙ্ক বেশি হওয়া উচিত ছিল।”

শিক্ষক মহলের এক অংশের বক্তব্য, এখানে যেহেতু কর্মী সংখ্যা কম তাই দ্রুত ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু বড় অংশের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার বাইরে পড়ে আছে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “আমরা ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আইসিটি কম্পিউটার প্রশিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, ভোকেশনাল, এসএসকে, এমএসকে, শিক্ষাবন্ধু, এনএসকিউএফ, পার্ট টাইম শিক্ষকদের ভাতাও বৃদ্ধি করে বঞ্চনার অবসান ঘটানোর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।"

এছাড়াও এতদিন পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার প্রশিক্ষকদের বার্ষিক ভাতা বৃদ্ধির কোনও নিয়ম ছিল না। এ বার প্রত্যেক বছর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভাতার কাঠামো কী হবে বলে ঠিক করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy