রাজপথে বৃষ্টি মাথায় করেই চাকরির দাবিতে সরব প্রাথমিকের টেট উত্তীর্ণেরা। ৫০ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী ২০২২-এর ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর পর দু’বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশিত হয়নি। দ্রুত ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে মিছিলে হাঁটলেন টেট উত্তীর্ণেরা। তাঁদের মধ্যেই বিশেষ ভাবে সক্ষম এক চাকরিপ্রার্থীর আর্তি, ‘‘রাস্তায় নেমে আর কত আন্দোলন করব?’’
বৃহস্পতিবার টেট উত্তীর্ণেরা ধর্মতলা থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে তাঁরা সরব ছিলেন। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, ওবিসি জটিলতায় থমকে রয়েছে টিচারস এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) ২০২২-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া। পাশাপাশি, ২০২৩-এর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশও এই কারণে করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষ ভাবে সক্ষম চাকরিপ্রার্থীও মিছিলে শামিল হন। নিজস্ব চিত্র।
মিছিল থেকেই ‘২০২২ প্রাইমারি টেট পাশ ডিএলএড ঐক্য মঞ্চ’-এর সদস্য বিদেশ গাজি বলেন, ‘‘আইনি জটিলতায় নিয়োগ না করতে পারলেও শূন্যপদ কতটা রয়েছে সেটাত পর্ষদ জানাতে পারে। এই শূন্য পদ জানতে পারলে আমরা তো নিশ্চিত হব যে আমরা সকলেই চাকরি পাব।’’
২০২২-এর টেট পরীক্ষায় নাম নথিভুক্ত করেছেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন। তাঁদের মধ্যে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর পরীক্ষা দিয়েছেন ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১০২ জন। উত্তীর্ণের সংখ্যা এক লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯৫ জন।পরবর্তীকালে শুধুমাত্র বিএড করেছেন, এমন প্রার্থীদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর পর ২০২৩-এর মার্চ মাসে ফল প্রকাশিত হয়। তারপর একাধিক বার পথে নামলেও সমস্যার সমাধান এখনও অধরা।
বৃষ্টি মাথায় করেই মিছিলে শামিল চাকরিপ্রার্থীরা। নিজস্ব চিত্র।
২০২২-এর টেট উত্তীর্ণদের দাবি, দ্রুত ওবিসি সমস্যা সমাধান করে নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। তাঁদের আরও অভিযোগ, এসএসসি-র চাকরিহারাদের নিয়ে সরকার তিন মাসের মধ্যে ফর্ম ফিলআপের প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে পারলেও টেট উত্তীর্ণদের নিয়ে কিছুই ভাবছে না সরকার।