ছবি হিট, কিন্তু বাঁচা মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল আমিরের। ফাইল চিত্র।
সালটা ১৯৮৮, বলিউড পেল নতুন এক চকোলেট হিরো। ছবির নাম ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’। হিন্দি ছবির জগতে আত্মপ্রকাশ আমির খানের। সেই সময় বহু পুরস্কার পায় মনসুর আলি খান পরিচালিত এই ছবি। অভিনয়ের পাশাপাশি এই ছবিতে সহকারী পরিচালকের কাজও করেছেন অভিনেতা। রোম্যান্টিক হিরো হয়ে দর্শকের সামনে এলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলেছেন আমির। সে দিনের সেই ‘চকোলেট’ নায়ক হয়ে উঠলেন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা। প্রথম ছবি করেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। স্বভাবে লাজুক বলে নিজের এত প্রচার খুব বেশি উপভোগ করেননি সে সময়ে। জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল তাঁর। ঠিক কী হয়েছিল, এত বছর পর সে কথাই জানালেন আমির।
অভিনেতার কথায়, ‘‘ছবিটি যে দিন মুক্তি পায়, প্রেক্ষাগৃহের ছাদে দাঁড়িয়েছিলাম। দেখি সিনেমা হলের বাইরে লোকের ভিড়। ছবিতে জুহির কাজ মনসুরের ভাল লেগেছিল। কিন্তু আমি ভীষণ সাধারণ মানের কাজ করেছিলাম। তার পরও ছবি সুপারহিট হয়ে গেল। রাতারাতি আমিও তারকা তকমা পেলাম। সেই সময় মাসিক মাইনে ছিল ১০০০ টাকা।’’ আমির জানান, সেই সময় স্টারডম কী, তা-ও জানা ছিল না। রাস্তাঘাটে লোকজন চিনতে শুরু করল। যেখানেই যাচ্ছেন, ভিড় জমে যাচ্ছে। রাতারাতি এই প্রচারের আলোয় চলে আসায় অভিনেতার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল বলেই জানান। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ভীষণ লাজুক স্বভাবের মানুষ, খুব বেশি প্রশংসা আমাকে বিড়ম্বনাতেই ফেলে বরাবর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy