Advertisement
E-Paper

শুধু মন দিয়ে মানুষকে ছোঁয়া যায় না, আমার জীবনে মন এবং শরীর— দুটোই তাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ

“‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ মোটেই গম্ভীর মুখে দেখার ছবি নয়। ৯০ বছর আগে এখনকার সমাজ তুলে ধরেছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়”, দাবি আবীর চট্টোপাধ্যায়ের।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১২:০০
ফ্রেমবন্দি জয়া আহসান, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।

ফ্রেমবন্দি জয়া আহসান, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।

দেখতে দেখতে ১৫ বছর পার! দীর্ঘ সময় ক্যামেরাবন্দি থাকার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র ৯০তম বছরে মুক্তি পেতে চলেছে সুমন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। আনন্দবাজার ডট কমের কাছে পরিচালকের দাবি, ১৫ বছর পরে মুক্তি পেলেও ছবি এবং ছবির গল্প সমসাময়িক। সেই সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর এখনকার সময়ের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। ঠিক যেমন পর্দার ‘কুসুম’ আর বাস্তবের জয়া আহসানের মধ্যে তেমন ফারাক নেই! সেই উপলব্ধি থেকেই ছবির ট্রেলারমুক্তির অনুষ্ঠানে এসে ঔপন্যাসিকের বিখ্যাত সংলাপ, ‘শরীর! শরীর! তোমার মন নাই কুসুম?’-এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন নায়িকা।

‘কুসুম’ যদি শরীরকে এগিয়ে রাখে, জয়া কাকে প্রাধান্য দেন, মনকে? প্রশ্ন ছিল দুই বাংলার নায়িকার কাছে। স্মিত হাসি হেসে তাঁর জবাব, “মন দিয়ে তো মানুষকে ছোঁয়া যায় না। শরীর দিয়ে মন ছুঁতে হয়। আমার জীবনে মন এবং শরীর— উভয়ের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ।” একটু থেমে যোগ করলেন, “আমার বিশ্বাস কুসুমেরও তাই।”

সাল ২০০৬। সুমন মুখোপাধ্যায় ঠিক করেছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসকে পর্দায় ধরবেন। কিন্তু ভাবলেই তা হচ্ছে কই? কখনও তিনি মানিকবাবুর গল্পের সত্ত্ব পাচ্ছেন না। আবার কখনও প্রযোজক। প্রযোজনা সংস্থা ক্যালাইডোস্কোপের কর্ণধার সমীরণ দাস এগিয়ে আসার পর দুই সমস্যার সমাধান যদি বা হল বাধ সাধল অতিমারী।

সুমন মুখোপাধ্যায়, জয়া আহসান, আবীর চট্টোপাধ্যায়।

সুমন মুখোপাধ্যায়, জয়া আহসান, আবীর চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।

ছবির প্রত্যেক চরিত্র একুশ শতকের মতোই ভাগ্যের হাতের ‘পুতুল’? জানতে চাইতেই পরিচালকের সহাস্য দাবি, “কমবেশি প্রত্যেকে। ছবির নায়ক শশী যেমন হাজার চেয়েও নিজের গ্রামের বাইরে পা রাখতে পারেনি। ইচ্ছে থাকলেও আমি তেমনি ছবি নির্মাণ করেই তার মুক্তি ঘটাতে পারিনি।"

যদিও এত লম্বা সময় বৃথা যায়নি। সুমন জানিয়েছেন, তিনি এই সময় নানা জায়গায় গিয়েছেন। যে জায়গা তাঁর ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র শুটিংয়ের উপযুক্ত মনে হয়েছে সেই সব জায়গার ভিডিয়ো তুলে রেখেছিলেন। পরিচালক বললেন, “ছবি শুরুর পর কাজ দ্রুত এগিয়েছে। হোমটাস্ক করা ছিল বলে বেশি সময় নিইনি।” ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

স্থান নির্বাচনের পাশাপাশি চিত্রনাট্য তৈরির গোড়া থেকেই সুমনের মনে নায়ক-নায়িকা সম্পর্কে স্বচ্ছ্ব ধারণা ছিল। “আবীর এর আগেও উপন্যাসধর্মী ছবিতে সফল। তাই ‘শশী’ চরিত্রে ওঁকে বেছেছিলাম।” যদিও অভিনেতা নিজের কাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন! “সুমনদা বলার পরে সত্যিই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। কেবলই মনে হচ্ছিল, পারব তো? অতিমারী আমার ভীষণ সহযোগিতা করেছিল। ওই সময় উপন্যাস, আমার অভিনীত চরিত্র মন দিয়ে পড়েছিলাম।” নায়ক আবার এও বলেছেন, “‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ মোটেই গম্ভীর মুখে দেখার ছবি নয়। ৯০ বছর আগে এখনকার সমাজ তুলে ধরেছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।”

একই ভাবে জয়ার মধ্যে বাকি পরিচালকদের মতোই মাটির গন্ধ পেয়েছেন সুমন। “চেহারা, মাটিতে পা রেখে জীবনযাপন, নিজের হাতে বাগানচর্যা— সব মিলিয়ে জয়া ভীষণ মেটো। ওঁকে ছাড়া ‘কুসুম’ চরিত্রে আর কাকে ভাবব?", পাল্টা প্রশ্ন তাঁর।

টিম ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’।

টিম ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। নিজস্ব ছবি।

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বিসর্জন’ বা ‘বিজয়া’ ছবির মতো এখানেও জয়ার তাঁতের লাল পাড়, ডুরে শাড়ি, কপালজোড়া অল্প ধেবড়ে যাওয়া সিঁদুরের টিপ। বিপরীতে আবীর...প্রশ্ন করার আগেই বললেন জয়া,...

— “আমায় ভারতীয় পরিচালকেরা ভালবাসেন, ছবিতে অভিনয়ের জন্য ডাকেন— তার জন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু এখনই শশী-কুসুমের সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে জানতে চাইবেন না। ওটা ১ অগস্ট পর্দার জন্য তোলা থাক?”

Jaya Ahsan Abir Chatterjee Suman Mukhopadhyay Putul Nacher Itikotha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy