Advertisement
E-Paper

‘চাকদা এক্সপ্রেস’ আরও দেরিতে এলে ঝুলন তখন কতটা প্রাসঙ্গিক থাকবেন? ভাবনা দিব্যেন্দুর

তিন বছর ধরে ক্যামেরাবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে ‘চাকদা এক্সপ্রেস’। মুক্তির কি কোনও সম্ভাবনাই নেই? আনন্দবাজার ডট কমের কাছে অনর্গল ছবির অন্যতম অভিনেতা।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৫ ১৫:২৯
‘চাকদা এক্সপ্রেস’, ঝুলন গোস্বামী নিয়ে কী বললেন দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য?

‘চাকদা এক্সপ্রেস’, ঝুলন গোস্বামী নিয়ে কী বললেন দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য? ছবি: সংগৃহীত।

তিনটি বছর পার। অনুষ্কা শর্মা অভিনীত ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ এখনও ক্যামেরাবন্দি। ছবির ভবিষ্যৎ কী?

বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজার ডট কমের কাছে সম্প্রতি মুখ খুললেন অভিনেতা দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য। ছবিতে তিনি ‘ঝুলন’ ওরফে অনুষ্কার প্রশিক্ষক স্বপন সাধু। ছবিমুক্তি নিয়ে বলতে গিয়ে আফসোস করে দিব্যেন্দু বললেন, “এই ছবির জন্য অনুষ্কা যে কী পরিশ্রম করেছেন, সেটা নিজের চোখে দেখেছি। আমি ইস্টবেঙ্গলের অন্ধ ভক্ত। ইস্টবেঙ্গলের মাঠে শুটিং করতে গিয়ে গায়ে কাঁটা দিয়েছিল। ছবি মুক্তি না পেলে সব স্বপ্ন, সব শ্রম জলে।”

ধরা যাক, ছবিমুক্তি আরও এক বছর পিছিয়ে গেল। এখনও ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে যে আগ্রহ রয়েছে তা কি আর থাকবে?

দিব্যেন্দুর বক্তব্য, “কিছু ছবি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মুক্তি না পেলে তার গুরুত্ব হারায়। আমাদের ছবি সেই ধারায় পড়ে না। এক জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়কের জীবন তথাকথিত জীবনীছবির ব্যাকরণ না মেনে, অন্য রকম ভাবে তৈরি হয়েছে। ফলে, দেরিতে মুক্তি পেলে এমনিতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ঝুলন গোস্বামী তখনও কত প্রাসঙ্গিক থাকবেন সেটাই প্রশ্ন।” তাঁর মতে, একটা সময়ের পর বীরেন্দ্র সহবাগের উপরেও স্মৃতির ধুলো জমতে বাধ্য।

রবিবারের সকাল। একদিনের অবসরে দিব্যেন্দু হাতা-খুন্তি নিয়ে রান্নাঘরে! জানালেন, ছুটির দিনে বন্ধুরা আসবেন। তাই ভালমন্দ রান্না করছেন। সুযোগ পেলেই রাঁধতে ভালবাসেন তিনি। সপ্তাহের বাকি দিন শুধুই শুটিং। মুম্বই থেকে ফোনে কথা বলতে বলতে দিব্যেন্দুর দাবি, “প্রতি মুহূর্তে নানা ধরনের চরিত্র ঝুলিতে জমা হচ্ছে। সে সব ফোটাতে গিয়ে নিজেকেও প্রতি মুহূর্তে আবিষ্কার করছি। তার পরেও অন্য ধারার খুব ভাল কোনও ছবি যদি মুক্তি না পায়, দর্শক দেখতে না পান— বড্ড খারাপ লাগে।” ‘চাকদা এক্সপ্রেস’-এর কথা উঠলেই তাই এক রাশ স্মৃতি ভিড় করে তাঁর মনে। মনখারাপ করে পরিচালক প্রসিত রায়ের কথা ভেবে। খুব যত্ন করে ছবিটি বানিয়েছিলেন।

সে সব স্মৃতি কেমন? জানতে চাইতেই অভিনেতা অনর্গল, “আমি নিজেও ক্রিকেটপাগল। ছোট থেকে ক্রিকেট খেলেছি। অল্পবয়সে অনেক টুর্নামেন্ট খেলেছি। সেই ক্রিকেট, সেই জীবন, সেই অতীত ফিরিয়ে দিয়েছিল এই ছবি। প্রত্যেকটা দৃশ্য ছেলেবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।” সেই সময়ে দিব্যেন্দু পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। সেই আয়, আর বাবার দেওয়া হাতখরচ— সব মিলিয়ে মাসে সা়ড়ে তিনশো টাকা আয়। “সেই দিয়ে সারা মাস চালাতে হত। যাতায়াতের খরচ বাঁচাতে বাবা সাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। সেই জীবন আমি নতুন করে দেখতে পাচ্ছিলাম।” তাই শুটিংয়ের সময় আলাদা প্রশিক্ষণ নিতে হয়নি তাঁকে।

Anushka Sharma Dibyendu Bhattacharya
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy