মা হাতে ধরে কোনও কিছু শিখিয়েছেন, এমন নয়। মায়ের পুজো মন দিয়ে দেখতাম। তার থেকেই শেখা। আমার মা রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রতি বছর বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য নিষ্ঠাভরে পুজো করতেন। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে এটা আমার বাবার বাড়ির পুজো। যদিও তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। পুজোর দিন একটাই প্রার্থনা সকলের জন্য করি, যিনি যে ভাবে আছেন ভাল থাকুন, শান্তিতে থাকুন।
এ বছর আমার লক্ষ্মীপুজোর ২৫ বছর। ২৫ বছর ধরে কোনও পুজোর ভার বহন করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়!
মায়ের দেবী প্রতিমা রুপো দিয়ে গড়া। ফলে, আলাদা করে এই দিন রুপো কিনি না। প্রতি বছর ভোরে ঘুম ভাঙে। নিজের হাতে সব গোছানো, ভোগের আয়োজন করি। তার পর দেবীকে সাজানো, আলপনা দেওয়া, আমন্ত্রিতদের তদারকি তো আছেই। এ বছর দেবীকে খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা, আলুর দম, ফুলকপির তরকারি, পনির, লুচি, জলপাইয়ের চাটনি আর পায়েস রেঁধে দেব। সঙ্গে ফল, মিষ্টি থাকবেই। পুজোর পর এই দিয়েই অতিথি আপ্যায়ন।
সকলেই জানতে চান, দাদা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কি বোনের বাড়ির পুজোয় আসেন?
বাস্তব ঘটনা হল, আমাদের পেশা আমাদের মধ্যে থেকে লৌকিকতা কেড়ে নিয়েছে! প্রতি বছর পুজোয় দাদার ছবি মুক্তি পায়। তাই নিয়ে দাদা চূড়ান্ত ব্যস্ত। এ বছর যেমন ‘দেবী চৌধুরাণী’ মুক্তি পেয়েছে। দাদা ছুটে বেড়াচ্ছে উত্তর থেকে দক্ষিণ। তার ফাঁকে সময় করতে পারলে আসবে! অনেক পুজোয় এমনও হয়েছে, মাঝরাতে বুম্বাদা ফোন করেছে, “মাকু, জেগে আছিস? আসব?” জবাবা দিয়েছি, বোনের বাড়ি মানে নিজের বাড়ি। এর জন্য ফোন করে অনুমতি চাইতে হবে কেন!