Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Pallavi Dey

পল্লবীর টাকায় অন্য সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাগ্নিক! দাবি অভিনেত্রীর পরিবারের

সাগ্নিকের অন্য সম্পর্কের কথা সম্প্রতিই জানতে পারেন অভিনেত্রী। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তিও চলছিল। পরিবারকে জানিয়েছিলেন পরিচারিকা।

দু’জনের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করেছিল বলে অভিযোগ পল্লবীর বাবার।

দু’জনের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করেছিল বলে অভিযোগ পল্লবীর বাবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ১৮:৪১
Share: Save:

এক দিকে পল্লবীর কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিলেন সাগ্নিক, পাশাপাশিই সম্পর্ক রাখছিলেন অন্য আর এক বান্ধবীর সঙ্গে। মৃত অভিনেত্রীর বাবা সোমবার থানায় তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, ওই বান্ধবী প্রায়ই পল্লবীর অনুপস্থিতিতে হাজির হতেন তাঁর গরফার বাড়িতে। আর পল্লবীর থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি-গাড়ি কেনা সাগ্নিক অভিনেত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে উপভোগ করতেন পারস্পরিক সঙ্গ। এই ভাষাতেই গরফা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন পল্লবীর বাবা নীলু দে। অভিযোগের প্রতিলিপি হাতে এসেছে আনন্দবাজার অনলাইনের। সেখানে এমনটাই স্পষ্ট লেখা রয়েছে।

প্রথম থেকেই পল্লবীর পরিবার দাবি করে আসছিল, এটা খুন, আত্মহত্যা নয়। গরফা থানার চত্বরে দাঁড়িয়ে পল্লবীর পরিবারের আইনজীবী বলেন, ‘‘যে উচ্চতায় উঠে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে হত, সেই উচ্চতায় ওঠা পল্লবীর একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এর পিছনে অন্য কেউ রয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ।ওকে হয়তো খুনই করা হয়েছে। আমরা মূলত সাগ্নিক, তাঁর বান্ধবী এবং আরও কিছু সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।’’

ওই অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, পল্লবীর থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য প্ররোচনা দিতেন সাগ্নিক এবং তাঁর বান্ধবী। দু’জনের বিরুদ্ধেই পল্লবীকে খুন করার অভিযোগ আনা হয়েছে । বলা হয়েছে, সাগ্নিক প্রতিদিনই মদ্যপান করতেন। মত্ত অবস্থায় শারীরিক নিগ্রহ করতেন পল্লবীকে। পল্লবীর শরীরে সেই সব অত্যাচারের চিহ্ন দেখতে পেয়েছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। সাগ্নিকের বান্ধবীর উপস্থিতি যখন থেকে জানতে পারেন পল্লবী, তখন থেকেই অশান্তি শুরু হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE