(বাঁ দিকে) দেব আনন্দ। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার দুপুরে নন্দন চত্বরের ভিড়ে তাঁকে এক ঝলক দেখতে তখন গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালার সামনে ভিড়। তত ক্ষণে খবর ছড়িয়ে পড়েছে দেব আনন্দের উপর উৎসবের প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই বছর দেব আনন্দের জন্মশতবার্ষিকী। তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে থাকছে ‘এভার গ্রিন দেব আনন্দ’ শীর্ষক প্রদর্শনী। প্রসেনজিতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হরনাথ চক্রবর্তী, শুভাপ্রসন্ন, অরিন্দম শীল, সুদেষ্ণা রায় প্রমুখ।
২০১১ সালে প্রয়াত হন দেব আনন্দ। কিন্তু প্রয়াত সুপারস্টারের সঙ্গে বেশ কয়েক বার দেখা হয়েছিল প্রসেনজিতের। অভিনেতা বললেন, ‘‘আমি তখন প্রায় নায়ক হয়ে উঠেছি। বাবার দৌলতে আমার ওঁর সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়। বাবার সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল ওঁর।’’ দেব আনন্দ প্রসেনজিৎকে বিভিন্ন ভাবে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রসেনজিৎ বললেন, ‘‘মনে পড়ছে, মুম্বইয়ে বাপ্পিদার (সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ী) বাড়িতে রাত ২টোর সময়ে দেব সাহাব এলেন ওঁর ছবির সঙ্গীত নিয়ে আলোচনা করতে। সেই বয়সেও দেখলাম সিঁড়ির দুটো ধাপ লাফিয়ে উঠতেন। এতটাই এনার্জি।’’ প্রসেনজিৎ আরও ব্যাখ্যা করে বললেন, ‘‘আমি পরবর্তীকালে ওঁর ওই হাঁটার স্টাইলটা নকল করেছিলাম। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমি কখনও সিঁড়ির একটা ধাপে পা রাখিনি। ওঁর মতো করেই লাফিয়ে সিঁড়ি ভাঙি। আমার নজরে উনি চিরকাল নায়কই থাকবেন।’’
দেব আনন্দের ‘সুপারস্টার’ ইমেজ ছেলেবেলায় চাক্ষুষ করেছেন প্রসেনজিৎ। অভিনেতার কোন ছবিটি প্রসেনজিতের প্রিয়? প্রশ্নের উত্তরে প্রসেনজিৎ বললেন, ‘‘অনেকগুলো রয়েছে। তবে ‘গাইড’ এবং ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ আমার বিশেষ পছন্দের ছবি।” ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ ছবিতে দেবের সঙ্গেই ছিলেন জিনাত আমন। প্রসেনজিতের কথায়, ‘‘তখন আমরা বড় হচ্ছি। সারা পৃথিবী জুড়ে হিপ্পি সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে ভাই-বোনের সম্পর্কের এ রকম ছবি অকল্পনীয়। ঊষাদি এবং আশাজির গলায় ছবির গানগুলো আজও শ্রোতারা মনে রেখেছেন।’’
গত বছর অমিতাভ বচ্চনের উপর চলচ্চিত্র উৎসবে একটি প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। নাম ছিল ‘অমিতাভ বচ্চন: আ লিভিং লেজেন্ড’। বুধবার সেই প্রদর্শনীর উপর একটি বিশেষ বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন প্রসেনজিৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy