প্রয়াত হলেন অভিনেতা সতীশ শাহ। শেষ বার তাঁকে দেখা গিয়েছিল জ়োয়া আখতারের সিরিজ় ‘দ্য আর্চিজ’-এর প্রিমিয়ারে। সে-ও প্রায় বছর দুয়েক আগের কথা। তার পর থেকেই শরীরের অবনতি হতে থাকে অভিনেতার। অস্ত্রোপচারও হয়। তবে শেষ রক্ষা হল না। প্রায় চার দশকের কেরিয়ার। নিজে খ্যাতি পেলেও প্রচারের আলো থেকে দূরে রাখতেন স্ত্রীকে। কত কোটির সম্পত্তি অভিনেতার?
এত ছবিতে অভিনয় করেছেন। এত এত প্রিমিয়ারে গিয়েছেন। তবু কখনও তাঁকে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা যায়নি। অভিনেতা নিজে অতীতে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি খুব একটা গোছানো মানুষ নন। কোনও জিনিস নিয়ে খুব বেশি প্ল্যানিং করতেও পারেন না তিনি। তাঁর স্ত্রী মধু শাহ পেশায় পোশাকশিল্পী। তিনি তাঁর পেশায় ব্যস্ত ছিলেন। এখনকার মতো ‘দেখনদারি’ নয়, বরং নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতেই পছন্দ করতেন সতীশ ও তাঁর স্ত্রী। এতগুলো বছর ধরে প্রায় ২০০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন সতীশ। মোটের উপর জানা গিয়েছে, স্ত্রীর জন্য ৫০ কোটির সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন অভিনেতা।
স্ত্রী মধু শাহের সঙ্গে সতীশ শাহ। ছবি: সংগৃহীত।
কৌতুকাভিনেতা হিসাবে সতীশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আশির দশকে। ১৯৮৪ সালে ছোটপর্দায় ‘ইয়ে জো হ্যায় জ়িন্দগী’ নামে এক হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন তিনি। এই ধারাবাহিকের ৫৫টি পর্বে ৫৫টি আালাদা চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল সতীশকে। তার পর কেরিয়ারে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক ধারাবাহিকের পাশাপাশি হিন্দি ছবিতে অভিনয়েরও প্রস্তাব পান সতীশ।
তবে পারিশ্রমিক নিয়ে প্রথম দিকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানিয়েছিলেন অভিনেতা। সতীশ জানিয়েছিলেন, ‘জানে ভি দো ইয়ারোঁ’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি এক বারে পারিশ্রমিক পাননি। একাধিক কিস্তিতে সেই অর্থ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। দীর্ঘ দিনের ব্যবধানে ৫০ অথবা ১০০ টাকার চেক সতীশকে লিখে দিতেন ছবিনির্মাতারা। অল্প অল্প করেই নাকি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যদিও নব্বইয়ের দশক থেকে ভাগ্যের চাকা ঘোরে। পারিশ্রমিকেও ফেরে সাম্য।