যে কোনও দেশপ্রেমী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পক্ষেই থাকবেন। যাঁরা ন্যায় চান, তাঁরাও ভারত সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানাবেন। এটা এক ধরনের প্ররোচনা। সন্ত্রাসবাদীরা জানত, প্রত্যাঘাত আসবেই। সব জেনেই তারা ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিরীহ ২৬ পর্যটককে হত্যা করেছিল। এই যে বেছে বেছে মারা, এটা কিন্তু প্রথম বার নয়। মুম্বইয়ে ২৬/১১-র হামলার সময়েও ঠিক একই কায়দায় হামলাকারীরা তাজ হোটেলে এ ভাবেই বেছে বেছে মেরেছিল। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে, একই সন্ত্রাসবাদী দল কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে।
কাশ্মীরে কখন এই হামলা সংঘটিত হল? মুম্বইয়ে তাজ হোটেলে ঘটে যাওয়া হামলার অন্যতম কুচক্রী তাবাহুর রানাকে যখনই ভারতে প্রত্যার্পণ করা হল ঠিক সেই সময়ে। যারা করেছে তারা জানত এই প্রত্যাঘাত হবেই। এই প্রত্যাঘাত বাঞ্ছনীয়। যে ভাবে স্ত্রীর সামনে তার স্বামীকে, সন্তানের সামনে তার পিতাকে ধর্ম জেনে মারা হয়েছে— এর পর চুপ করে বসে থাকাটা কোনও সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি আজ ভারতীয় হিসাবে গর্বিত। আমি মনে করছি, আমার দেশ যোগ্য জবাব দিয়েছে। আগামী দিনেও এ রকমই যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
জানি, এতে দু’দেশের সাধারণ মানুষের জীবন প্রভাবিত হবে। যুদ্ধ বাঁধলে তাই-ই হয়। যারা কুচক্রী তারা তো আর সামনে আসবে না। এরা আড়ালে বসে থাকবে। এদের এবং এদের পরিবারের কারও গায়ে একটি আঁচড় পর্যন্ত লাগবে না। কিন্তু যাদের দিয়ে এই হামলা ঘটানো হয়েছে তাদের এবং তাদের পরিবারের ক্ষতি! সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষেরও হবে। আজকে যদি আমাদের এখানে মিসাইল হানা হয়, আমরা অনেকেই মারা যাব। কেউ যদি যুদ্ধ চায় তা হলে আমরা তো চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাই বলতে পারি, কাপুরুষতার থেকে মৃত্যবরণ করা বাঞ্ছনীয়। আজকে যদি ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রত্যাঘাত না হত তা হলে বিশ্বের কাছে ভারত কাপুরুষ প্রমাণিত হত। আমি যে হেতু স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাতি তাই আমার মত, মাথা নীচু করে বাঁচার চাইতে মাথা উঁচু করে মরা ভাল।