প্রায় ১০-১২ বছর হল অভিনয় থেকে দূরে লকেট চট্টোপাধ্যায়। এখন তাঁর পরিচয়ের প্রায় পুরোটাই জুড়ে থাকে তাঁর রাজনীতি। ৪ ডিসেম্বর লকেটের জন্মদিন। এই বিশেষ দিনটা কী ভাবে কাটান তিনি? মা-বাবার সঙ্গে কাটানো জন্মদিন থেকে এখন ছেলের উদ্যাপন— কী কী পরিবর্তন হল তাঁর জীবনে?
কোনও দিনই খুব বেশি আড়ম্বর পছন্দ নয় তাঁর। ছোটবেলাতেও উদ্যাপনের তেমন বালাই ছিল না। লকেট বলেন, “মা বলতেন, মেয়েদের জন্মদিন উদ্যাপন করতে নেই। তাই বিশেষ কিছু হত না। বড় হয়েও যে খুব বেশি কিছু হয়েছে তেমন নয়। এখন ছেলের উদ্যোগে কেক কাটা হয়।” তবে এই দিনটা এলে মায়ের আশীর্বাদ আর তাঁর হাতের পায়েসের কথা খুব মনে পড়ে লকেটের। আর প্রতি বছরেই নিয়ম করে এই দিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান তিনি।
এই দিনে অনাথ শিশুদের জন্য খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করতে, বৃদ্ধাশ্রমে কিছুটা সময় কাটাতেও ভালবাসেন লকেট। তিনি জানালেন, আগের দিন রাত ১২টায় ছেলে একটি বিশেষ কেক নিয়ে আসে। সেটাই কাটা হয়। বৃহস্পতিবার, জন্মদিনের সারাটা দিন ছেলের সঙ্গেই কাটানোর পরিকল্পনা তাঁর। আর কি তা হলে কোনও দিন পর্দায় দেখা যাবে না লকেটকে?
তিনি যোগ করেন, “অনেক বছর হয়ে গেল আমি অভিনয় থেকে দূরে। আসলে যে কাজ করছি সেটাতেই মন দিতে চাই। যখন সাংসদ ছিলাম, সেই পাঁচ বছর নিঃশ্বাস ফেলার সময় ছিল না। এখনও কাজের চাপ আছে। তাই ওই দিকটায় মনোযোগ দিতে পারিনি অনেক দিন। তবে খুব মনে পড়ে।” এ কথা বলতে বলতেই পুরনো দিনে ডুব দেন লকেট। কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, পাওলি দাম, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত-সহ অনেকের সঙ্গে কাটানো সময়ের কথাই তাঁর মনে পড়ে।
লকেট বলেন, “ঋতুদির সঙ্গেও কাজ করেছি। রচনার সঙ্গে অভিনয় করেছি। কারও সঙ্গে দেখা হয় না এখন। সময়ের অভাবে কোনও অনুষ্ঠানেও সে ভাবে যাওয়া হয় না। মনখারাপ তো লাগে মাঝে মাঝে।” তবে মমতাশঙ্করের দলে নাচের অনুষ্ঠান করতে যাওয়া, ট্রেনে জন্মদিন উদ্যাপনের দিনগুলো এখন আরও বেশি মনে পড়ে তাঁর। আগামী দিনে কি তাঁকে বড়পর্দায় দেখা যাবে? সেই উত্তর অবশ্য অধরা।