১১ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার তাঁর জন্মদিন। তার আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার ‘পঞ্চম সন্তান’-এর ‘মা’ হলেন মিমি চক্রবর্তী! তাকে কোলে নিয়েই ঝলক বার্তায় অনুরাগীদের জানিয়েছেন সুখবর। হাসিমুখে বলেছেন, “এর আগেও ক্যানসারে আক্রান্ত একটি সারমেয়কে দত্তক নিয়েছিলাম। নাম রেখেছিলাম ফেব্রুয়ারি। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারিনি। আবারও এক খুদে সারমেয়কে ‘প্যাসিভ অ্যাডপ্ট’ করলাম। এরও নাম রেখেছি ফেব্রুয়ারি। ও আমার পঞ্চম সন্তান।”
মিমি বরাবর সারমেয়প্রেমী। একাধিক সারমেয় ‘সন্তান’ তাঁর। অভিনেত্রী বাড়ি ফিরলেই ঘিরে ধরে, আদর করে সকলে। সে দৃশ্য দেখা গিয়েছে সোমবারও। তিনি দত্তক নিতে গিয়েছিলেন যে সংস্থায়, সেখানেও তাঁকে ঘিরে ধরেছে বাকি সারমেয়রা। হাসিমুখে অভিনেত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যেন কত আপনজন! দত্তক নেওয়ার পর সংস্থার তরফ থেকে জন্মদিনের আগাম উপহার হিসেবে তাঁর হাতে দুটো ফুলগাছের চারা তুলে দেন কর্মীরা। শুভেচ্ছা জানান তাঁকে।
আরও পড়ুন:
উদ্যাপনের তখনও বাকি। মধ্যরাতে না জানিয়ে মিমির বাড়িতে হাজির তাঁর বন্ধুরা। তালিকায় পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়, অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে। অভিনেত্রীর অনুপস্থিতিতে তাঁরা হলুদ-কালো বেলুন, ফেস্টুন দিয়ে ঘর সাজিয়ে ফেলেছেন। টেবিলে হাজির রেড ভেলভেট, হোয়াইট ফরেস্ট-সহ রকমারি কেক। কালো সিক্যুইনের হাতাকাটা গাউনে সেজে নায়িকা ঝলমলে বন্ধুদের উপস্থিতিতে। মাকে দেখে রসিকতা করার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। জড়িয়ে ধরে বলে ওঠেন, “এই জন্যই নাইটি ছেড়ে সালোয়ার-কামিজ পরেছ!” শুনেই হাসির রোল উঠেছে। এর পর ইচ্ছের কথা জানিয়ে কেক কাটার পালা। মিমির ইচ্ছের কথা শুনে আর একপ্রস্ত হাসি সকলের। কারণ, নায়িকার দাবি, তিনি জীবনের থেকে প্রচুর আনন্দ, ভালবাসা চান। তার পরেই মাথা ঝাঁকিয়ে জোর গলায় দাবি করেন, তাঁর আরও টাকা চাই! নিজেই ‘হ্যাপি বার্থডে’ গান গেয়ে ওঠেন। তত ক্ষণে সারমেয় ‘সন্তান’রা ঘিরে ধরে আদর জানাচ্ছে মিমিকে।