“‘আলো’ নাম আমার কাছে পয়া। আগে ধারাবাহিক ‘বঁধু কোন আলো লাগল চোখে’ করেছিলাম। তখনও দর্শক খুব ভালবেসেছিলেন। এ বার ‘কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করলাম। প্রচুর প্রশংসা পেয়েছি।” সান বাংলার জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকটি মাত্র দু’দিনের নোটিসে বন্ধ। আনন্দবাজার ডট কম-এর কাছে মনখারাপ উজাড় করে দিলেন নায়িকা ‘আলো’ ওরফে পায়েল দে।
টানা এক বছর চলল ধারাবাহিক। হইহই করে পেরিয়েছে ৩২০ পর্ব। “সামনে পুজো। আমরা কত কিছু পরিকল্পনা করেছিলাম! একসঙ্গে মজা করব, খাওয়াদাওয়া সারব। কাজশেষে, যাঁরা ইচ্ছুক তাঁরা ঠাকুর দেখতে যাবেন। সে সব মাটি”, আক্ষেপ অভিনেত্রীর। ক্ষুণ্ণ স্বরে বললেন, “আমার ১৯ বছরের পেশাজীবনে এই প্রথম এমন অভিজ্ঞতা। মাত্র দু’দিনের নোটিসে কোনও ধারাবাহিক বন্ধ হয়নি!”
অভিনেত্রীর সান্ত্বনা একটাই, ইদানীং মাত্র দু’মাসে ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিক তবু তো এক বছর চলল!
গত রবিবার একরাশ মনখারাপ নিয়ে সকলে শুটিং শেষ করেছেন। কেন মাত্র দু’দিনের নোটিসে বন্ধ হয়ে গেল কাজ? জবাব জানা নেই ধারাবাহিকের নায়িকার। তাঁর কেবলই মনে হচ্ছে, “টেকনিশিয়ান-সহ অনেকেই পুজোর সময় ছোটপর্দার কাজের দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন। এখনও পর্যন্ত এখানেই নিয়মিত উপার্জনের পথ খোলা।” সেই জায়গা থেকে পায়েলের উপলব্ধি, পুজোর পর ধারাবাহিক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে, সকলেই হাসিমুখে শারদীয়া কাটাতে পারতেন।
আরও পড়ুন:
মনখারাপের পসরা উপুড়ের পরেই তাঁর গলায় খুশির আমেজ। পায়েল বললেন, “এই ধারাবাহিক আমায় অনেক দিয়েছে। প্রচুর ‘লুক’ বদলানো হয়েছে। কম করে ২৯-৩০টি। একটি ধারাবাহিকে কোনও নায়িকার এত বার ‘লুক’ বদল সাধারণত ঘটে না।” আগামী দিন নিয়ে কী ভাবছেন অভিনেত্রী? পায়েলের কথায়, “শীঘ্রই ‘ইন্দু ৩’ সিরিজ় মুক্তি পাবে। আর রয়েছে সায়ন্তন ঘোষালের ‘বামাক্ষ্যাপা’। এ বার ওই ছবির শুটিংয়ে যোগ দেব।”