কারাবাসে থাকলে খাবারের মর্ম বোঝা যায়। সম্প্রতি এক আলোচনাসভায় জানালেন রিয়া চক্রবর্তী। সংশোধনাগারে থাকাকালীন প্রয়াত প্রেমিক তথা অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের জন্য শোকপালনও করতে পারতেন না।
সংশোধনাগারে থাকার পরে জীবনদর্শন বদলে গিয়েছে রিয়ার। বুঝেছেন, জীবনটা মোটেই সহজ নয়। কারাগারের জীবনযাপন নিয়ে যদি কোনও ছবি তৈরি করেন, তা হলে সেই ছবিতে অভিনয় করবেন কে? প্রশ্ন করা হয়েছিল রিয়াকে। উত্তরে তিনি বলেন, “কারাগারে অনেক কিছুই থাকে না। অনেক কিছু মনে পড়ে সেই দিনগুলোর। আমরা আফসোস করি আমাদের কিছু নেই ভেবে। সংশোধনাগারে থেকে উপলব্ধি করেছিলাম, কিছু না থাকার আসল অর্থ কী?”
যখন যা খুশি ইচ্ছামতো খাওয়ার উপায় নেই। অভিনেত্রীর কথায়, “বাবা-মাকে আমরা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু সংশোধনাগারে ওঁদের কথাই মনে পড়ত। জীবনদর্শন পুরো বদলে গিয়েছিল। লোকে কী বলছে, তা নিয়ে আর গায়ে মাখতাম না। সেই সময়ে আমার বয়স মাত্র ২৭। ওখানে থেকে খাবারের মূল্য বুঝেছি। দোকানের পিৎজ়ার চেয়ে ডাল-ভাতকে মূল্য দিতে শিখেছি।”
আরও পড়ুন:
সংশোধনাগারে সুশান্তের কথা মনে পড়ত? রিয়া জানান, এমনই কঠিন পরিস্থিতি ছিল যে, শোকপ্রকাশ পর্যন্ত করার অনুমতি ছিল না। তাই আজও তাঁর মনে হয়, শোকপর্ব শেষ হয়নি। বাকি থেকে গিয়েছে অনেক কিছু। অভিনেত্রী বলেন, “এখনও মনের ভিতর শোক রয়ে গিয়েছে। বিষয়টা ব্যক্তিগত রাখতে চাই। তবে আমি খুশিও আছি। তবে এই ধরনের খুশির উৎপত্তি হয় গভীর মানসিক আঘাত থেকে।”
সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মাদকযোগে নাম জড়ানোর কারণেও গ্রেফতার করা হয়েছিল রিয়াকে। তবে একটা সময়ের পর অব্যাহতি মেলে তাঁর। সেই দিন বাড়িতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বুঝতে পেরেছিলেন, সারাজীবনের জন্য তাঁর জীবন বদলে গিয়েছে।