Advertisement
E-Paper

সব ইন্ডাস্ট্রিতেই মহিলাদের যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়! কুপ্রস্তাব এলে কী ভাবে সামলান ঋত্বিকা?

মহিলাদের যে কোনও ক্ষেত্রেই হেনস্থা ও অবদমনের শিকার হতে হয় বলে মনে করেন অভিনেত্রী।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৫ ১২:৫১
দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতের কাস্টিং কাউচ নিয়ে কী বললেন ঋত্বিকা।

দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতের কাস্টিং কাউচ নিয়ে কী বললেন ঋত্বিকা। ছবি: সংগৃহীত।

বিনোদন জগতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। গত কয়েক মাসে দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতের হেনস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন একাধিক অভিনেত্রী। ফাতিমা সানা শেখ, কীর্তি কুলহারি থেকে শুরু করে অঙ্কিতা লোখান্ডে— ভাগ করে নিয়েছেন হেনস্থা এবং আপত্তিকর প্রস্তাবের অভিজ্ঞতা। যদিও গোটা দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগৎ এমন নয় বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। দক্ষিণের বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছেন বাঙালি অভিনেত্রী ঋত্বিকা সেনও। তাঁরও কি অভিজ্ঞতা তেমনই?

ঋত্বিকার মতে শুধু দক্ষিণী ছবিতে নয়। যে কোনও ইন্ডাস্ট্রিতেই কাস্টিং কাউচের মতো বিষয় রয়েছে। আনন্দবাজার ডট কমকে ঋত্বিকা বলেন, “আমার সরাসরি খারাপ কোনও অভিজ্ঞতা হয়নি। কাস্টিং কাউচ তো সব ইন্ডাস্ট্রিতেই রয়েছে। আমরা সকলেই জানি সেটা। শুধু চলচ্চিত্র জগতেই নয়। যে কোনও ক্ষেত্রেই এই ধরনের বিষয় রয়েছে। আমারই বহু বান্ধবী রয়েছে, যাদের কেউ কেউ তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা বা অন্য ক্ষেত্রে চাকরি করে। তাদেরও নানা রকমের আপত্তিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।”

সাধারণ কর্মক্ষেত্রেও প্রায় এমন অভিজ্ঞতা হয় মহিলাদের, ঋত্বিকাকে তাঁর স্কুলজীবনের দুই বান্ধবী জানিয়েছেন। মহিলাদের যে কোনও ক্ষেত্রেই হেনস্থা ও অবদমনের শিকার হতে হয় বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “আসলে কিছু মানুষ ভাবে, মহিলা মানেই তাদের যা খুশি বলা যায়। মহিলা মানেই তাদের দমিয়ে রাখা যায়। বিনোদন জগৎ বা যে কোনও ইন্ডাস্ট্রি এই সমাজেরই অংশ। তাই একই অবস্থা সব জায়গায়।”

কর্মক্ষেত্র হোক বা রাস্তাঘাটে, যে কোনও জায়গাতেই মহিলাদের হেনস্থার শিকার হতে হয়। তাই অনবরত মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা শিরোনামে উঠে আসে। কুপ্রস্তাব এলে কী ভাবে সামলান ঋত্বিকা? অভিনেত্রী বলেন, “আমি সপাটে উত্তর দিতে পছন্দ করেছি। এমন মানুষ দেখেছি, যাঁদের মানসিকতা মোটেই ভাল নয়। নিশ্চয়ই তাঁরা খারাপ পরিবেশে বড় হয়েছেন। এঁরা ভেবেই নেন, মহিলা মানেই সম্মতি ছাড়াই গায় হাত দেওয়া যায়। গণপরিবহণে যাতায়াতের সময়ে তো মহিলারা প্রায়ই হেনস্থার শিকার হন। আমি সেটা করি না বলে, তেমন অভিজ্ঞতা হয়নি।”

সরাসরি হেনস্থার অভিজ্ঞতা না থাকলেও, আশপাশে মহিলাদেরকে দেখেছেন ঋত্বিকা। নিয়মিত রাস্তাঘাটে হেনস্থার শিকার হয়ে কেউ কেউ ভেঙে পড়েছেন, কান্নাকাটিও করেছেন। ঋত্বিকা বলেছেন, “কিছু মানুষ ভেবেই নেয়, মহিলা মানেই স্পর্শ করে দেওয়া যায়। এই ধরনের মানুষ সব বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতেই রয়েছে তো বটেই। অন্য ক্ষেত্রেও রয়েছে। এদের মুখ বন্ধ করে দেওয়াই একমাত্র সমাধান। এদের বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলতে হবে।”

এমন মানুষের সঙ্গে সামান্য কথা বললেই মানসিকতা বোঝা যায়, মনে করেন ঋত্বিকা। নিজের আশপাশে বহু মানুষকেই দেখেছেন এমন ভাবে। তিনি বলেছেন, “এমন বহু মানুষকে দেখেছি। কথা বললেই এদের মানসিকতা বোঝা যায়। আমি নিজে একজন কর্মরতা মহিলা। আমি গাড়ি চালাতে পারি, নিজের সমস্ত কাজ নিজে করতে পারি। পুরুষেরা যা পারে, আমরা তা সবই পারি। মহিলারা কোনও দিক থেকেই দুর্বল নয়। কিছু মানুষের মানসিকতা ভুল ভাবে কাজ করে। এদের বড় হয়ে ওঠা তো আর বদলানো যাবে না।”

Rittika Sen
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy