এখনও তো অত বড় হইনি! তুমি চলে গেলে যে? এখনও তো আদর খেতে ইচ্ছে হয় আমার। কত দিন তুমি বকোনি আমায়! ফোনের ও পারের সেই অভিমানী মা কোথায় হারিয়ে গেল আমার! কত দিন তোমার গলা শুনিনি। কী করলাম আমি, যে এ ভাবে তুমি আমায় ছেড়ে চলে গেলে? বড্ড কষ্ট হচ্ছে মা। বলো না, আমায় এ ভাবে রেখে চলে গেলে কেন? শূন্য হয়ে গেল সব। কেউ বোঝে না আমায়, তোমার মতো। প্রতি রাতে কান্না পায়। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কাউকে বুঝতে দিই না। তুমি কি অভিমান করে এ ভাবে চলে গেলে? খুব একা লাগে এখন। অনেক না-বলা কথা রয়ে গেল। তোমার প্রিয় বারান্দা আছে ওখানে। যেখান থেকে একফালি আকাশ দেখা যায়।
আরও পড়ুন:
প্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের বইগুলো ওখানে খুঁজে পেয়েছ তো? পরলোক কেমন মা? রাস্তাগুলো সুন্দর? সব বাধ্যবাধকতা ছাড়িয়ে তুমি চলে গেলে! রাতের তারাদের মধ্যে তোমার ঠিকানা খুঁজি। যেখানে আমার এই চিঠি পৌঁছোবে। তোমার ঠিকানাটা আমাকে বলবে! তোমার কাছে যাব। তোমার আদর খেতে চাই। এখনও মনে পড়ে, তুমি আমার বাড়ির কার্নিশের পাখির বাসাটা বার বার দেখতে। পাখির ছানাগুলো কী করছে খেয়াল রাখতে। জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছ। কিন্তু আমাদের গায়ে আঁচ লাগতে দাওনি। সব একা সামলেছ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমার সঙ্গে কোনও কথাই তুমি বললে না। এখন তোমার ওই অপেক্ষার কথা খুব মনে পড়ে। কখন আমি আসব, সেই অপেক্ষা। আর হয়তো এই অনুভূতি হবে না কখনও। তুমি আমাদের ছাড়া ওখানে কেমন আছো? আমি একদম ভাল নেই। তুমি জেগে আছো তো! আমি আসছি।