সাদা বাথরোবের সঙ্গে মাথায় জড়ানো সাদা তোয়ালে। যেন সদ্য স্নান করে সূর্যের আলোয় বসেছেন। চোখ ঢেকেছে রোদচশমা। মসৃণ ঊরুদেশ দেখানো দুই পা ছড়ানো। হাতে সাদা কফির কাপ। রুকমা রায় এমনই অলস ভঙ্গিতে বারান্দায়! কলকাতার বারান্দায় এত সাহসী ভঙ্গিমায় অবসর কাটানো যায়? অভিনেত্রীর এ রকম উষ্ণ ছবি দেখে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। তখনই জানা গিয়েছে, তিনি জর্জিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।
বেড়াতে ভালবাসেন। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন। রুকমার সঙ্গে থাকেন অভিনেত্রীর বান্ধবীদের ‘গার্লস গ্যাং’। এ বারেও সদ্য জর্জিয়া ঘুরে শহরে ফিরেছেন। কণ্ঠস্বরে এখনও বেড়ানোর আমেজ স্পষ্ট! এ দিকে অনুরাগীরা যে তাঁকে পর্দায় দেখার জন্য মুখিয়ে! বেড়াতে যাবেন বলেই কি অভিনয় থেকে সাময়িক বিরতি তাঁর?
“কাজের কথা চলছে। মনের মতো চরিত্র পছন্দ হচ্ছে না। আমি কিন্তু বসে নেই। নিয়মিত শরীরচর্চা করে ওজন ঝরাচ্ছি। পাশাপাশি, নানা জায়গায় টানা মঞ্চানুষ্ঠান করছি। অনেক দিন বাইরে যাইনি। তাই বেরিয়ে পড়লাম...”, যোগ করলেন অভিনেত্রী। তার পরেই অকপট স্বীকারোক্তি, জর্জিয়া থেকে ফিরে তাঁরও মনে হয়েছে, অনেক দিন অভিনয় থেকে দূরে। এ বার লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় আবার ফিরতে হবে।
জর্জিয়ার নানা স্থানে রুকমা। ছবি: ফেসবুক।
জর্জিয়া কেমন ঘুরলেন রুকমা? বেড়াতে গিয়ে কী কী খেলেন? সেই গল্পও ভাগ করে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, তিনি এই কয়েকটা দিন কোনও ‘ডায়েট’ মানেননি। মনের সুখে চেখেছেন নানা স্বাদের রান্না।
যেমন? “জর্জিয়ার তিবলিসি, বাটুমি, কাজ়বেগি বেড়াতে গিয়েছিলাম। তিবলিসিতে এই রোদ এই বৃষ্টি। সুন্দর চার্চ, নানা রঙের আবাসন, কাচের সেতু, পার্ক আছে। আর আছে ‘মাদার অফ জর্জিয়া’র মূর্তি। বাটুমিতে সমুদ্র আর পাহাড়ের সহাবস্থান। যাঁরা খেতে ভালবাসেন তাঁরা এখানে টার্কিশ চা, নানা স্বাদের রোল, কাচ্চিপুরি, কিংখালি, নানা স্বাদের কাবাব চেখে দেখতে পারেন। আমি কিন্তু এগুলোই খেয়েছি। খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে গিয়েছিলাম ভারতীয় খাবারের দোকানে। সেখানে এত সুস্বাদু ডাল খেয়েছিলাম, আজও জিভে লেগে রয়েছে। সঙ্গে প্রচুর স্যালাড।”
আরও পড়ুন:
শুধুই প্রাকৃতিক দৃশ্য? পথপশুরাও মুগ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। পথের কুকুর, বিড়ালও কী ভীষণ মিষ্টি। সকলে ওদের খুব ভালবাসে, জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ছোট্ট ঘটনাও বলেছেন, “ট্রেনে চেপে তিবলিসি থেকে বাটুমি যাচ্ছিলাম। বেশ কিছু ক্ষণ টানা চলার পর নির্দিষ্ট জায়গায় থামে। তেমনই একটা জায়গায় দেখলাম, ট্রেনের গার্ড পথপশুদের জন্য রুটি নিয়ে নামলেন। যত্ন করে খাওয়ালেন তাদের। ওই এক দিন নয়, প্রতি দিন এ ভাবেই পথপশুদের খাওয়ান তিনি। তাঁর মতো আরও অনেকেই খাবার নিয়ে আসেন।”