ঋতাভরী চক্রবর্তীর পায়ের তলায় সর্ষে। যখনই মন যায় ‘রইল ঝোলা চলল ভোলা’ বলে বেরিয়ে পড়েন। কখনও তাঁর সঙ্গে মা শতরূপা সান্যাল, দিদি চিত্রাঙ্গদা শতরূপা থাকেন। কখনও তিনি একাই বেরিয়ে পড়েন। নায়িকার এ বারের সঙ্গী তাঁর হবু স্বামী সুমিত অরোরা। সুমিত বলিউডের প্রথম শ্রেণির চিত্রনাট্যকার। ‘জওয়ান’, ‘স্ত্রী’, ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এর মতো হিট ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি। গুঞ্জন, বছরের শেষে না কি বিয়ের পিঁড়িয়ে বসতে পারেন যুগলে। তার আগে নিজের জন্মদিন উপলক্ষে সুমিতকে নিয়ে প্রাক্-মধুচন্দ্রিমায় ইউরোপ উড়ে গিয়েছেন বড় পর্দার ‘ফুল্লরা’।

বিদেশের পথে ঋতাভরী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সত্যি নাকি? জানতে ফোনে যোগাযোগ আনন্দবাজার ডট কমের। শুনেই রসিকতায় ফেটে পড়েছেন তিনি। বলেছেন, “আমরা পরস্পরকে ছ’বছর ধরে চিনি। এর পরেও প্রাক্-মধুচন্দ্রিমার খুব প্রয়োজন?” জানিয়েছেন, রোজ যেখানে সকাল হয়, তাঁর সেই শহর কলকাতাও খুবই সুন্দর। কিন্তু টানা থাকতে থাকতে এক এক সময় মনে হয়, তিনি যেন ‘কুয়োর ব্যাং’ হয়ে গিয়েছেন। তখনই দম বন্ধ হয়ে আসে। তিনি ব্যাগ গুছিয়ে পথে নামেন। অচেনা রাস্তা, পথ-প্রান্তর তাঁকে নতুন করে বাঁচার জীবনীশক্তি দেয়। তিনি টাটকা অক্সিজেনে ফুসফুস ভরে আবার চেনা কুঠুরিতে ফেরেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় ঋতাভরী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
“এই যেমন বার্লিন। এমন একটি হোটেলের চিলেকোঠায় আমরা থাকছি, যেখানে চোখ মেললেই মাথার উপরে কাচের জানলা। সেখান থেকে প্রায় গোটা শহরটাই দেখা যায়। রবিবার ঘুম ভেঙে সেই দৃশ্য দেখে মনে হল, এই জায়গা স্বর্গের থেকে কম কিসে?” তেমনই তাঁর পছন্দের আর একটি জায়গা প্যারিসের ডিজ়নিল্যান্ড। মাথায় মিকি মাউস টুপি পরে সেখানকার রাস্তাতেও ঘুরতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সঙ্গী সুমিত। অনেক ছবি, ভিডিয়ো তুলেছেন সেখানকার। হবু স্বামী এগিয়ে গেলে আলতো করে ‘বাবু’ বলে ডেকে ফিরিয়েছেন। সেই সম্বোধনও উপভোগ করেছেন অভিনেত্রীর অনুরাগীরা।

সুমিত আর ঋতাভরী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
আর পাঁচ জন পর্যটকের মতো বেড়ানোর সময় তাড়াহুড়ো করেন না ঋতাভরী। “যে শহরে মিউজ়িয়াম আছে, সে শহরে দরকার হলে ১০ দিনও কাটাই, যাতে কোনও কিছু মিস না করি। আমার কোনও তাড়া নেই। বেড়ানোটা যদি উপভোগই করতে না পারলাম তা হলে কী করলাম?”, যুক্তি অভিনেত্রীর।