২০ বছর বয়সে নানা রকমের নতুন অভিজ্ঞতা হয় মানুষের। কিন্তু এই বয়সটায় আর ফিরতেই চান না সুরজ পাঞ্চোলি। অভিনেতার কথায়, এই সময়টা তাঁর জীবনে এতই বিষাক্ত যে বাবা-মায়ের চোখের দিকে পর্যন্ত তাকাতে পারতেন না। সেই সময়ের যন্ত্রণার কথা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরলেন সুরজ।
২০১৩ সালে জিয়া খানের মৃত্যুর পরে সরাসরি আঙুল উঠেছিল সুরজের দিকে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তদন্তে তিনি অব্যহতি পেলেও, বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। তাই এখন নিজের জন্য গর্বিত বোধ করেন। এমনই জানিয়েছেন সুরজ। এই সময়ে তাঁর পাশে তাঁর পরিবার ছিল। কিন্তু তাঁর জীবনের তারুণ্য সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করে তিনি।
সাক্ষাৎকারে সুরজ পঞ্চোলি বলেছেন, “পরিবারের সঙ্গে আমার সমীকরণ এখন খুবই ভাল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন আমরা পরস্পরের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারতাম না। আমরা পরস্পরের সঙ্গে কথাও বলতে পারতাম না, কারণ আমাদের মনের মধ্যে সব সময় যন্ত্রণা বাসা বেঁধে থাকত।”
আরও পড়ুন:
কিন্তু বর্তমানে নিজেদের মধ্যে সমীকরণে বদল এসেছে। তাই সুরজ বলেছেন, “এখন আমরা পরস্পরের দিকে তাকাতে পারি। অতীত ভেবে এখন আমাদের হাসি পায়। এমন কিছু ঘটলে অবশেষে পরিবারের সকলেই পরস্পরের কাছাকাছি চলে আসে। এই ঘটনার আগে কিন্তু আমরা সকলের এত ঘনিষ্ঠ ছিলাম না।”
সুরজের মা অর্থাৎ জ়ারিনা ওয়াহবও একাধিক বার কথা বলেছেন জিয়া খানের মামলা নিয়ে। তিনি দাবি করেছেন, সুরজ এবং জিয়া দু’জনের কেউই সুখী ছিলেন না এই সম্পর্কে। সেই বছরই প্রথম বড় পর্দায় অভিষেক হওয়ার কথা ছিল সুরজের। এক দিকে পেশাগত জীবন, অন্য দিকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টালমাটাল অবস্থা ছিল তাঁর। এমনকি, দুই পরিবারও একেবারেই খুশি ছিল না এই সম্পর্কে। তার পরেই নাকি জিয়ার সঙ্গে প্রেম ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেতা। যদিও জিয়ার অনুরাগীরা আজও এই দাবি মানতে নারাজ।