Advertisement
E-Paper

কাঞ্চনকে নিয়ে বলার জায়গাই নেই! ‘আমিই আজীবনের ভ্যালেন্টাইন’, বিবাহবার্ষিকীতে শ্রীময়ী

এক বছরে অনেক বদলে গিয়েছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। এক বছরে তিনি আরও সংসারী, পরিপূর্ণ। কেবল একটাই আফসোস তাঁর। কী সেটা?

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৬
বিয়ের প্রথম জন্মদিনে প্রেমের জোয়ারে ভাসলেন কাঞ্চন মল্লিক, শ্রীময়ী চট্টরাজ।

বিয়ের প্রথম জন্মদিনে প্রেমের জোয়ারে ভাসলেন কাঞ্চন মল্লিক, শ্রীময়ী চট্টরাজ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

১৪ ফেব্রুয়ারি কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টরাজের দিন। এ দিন তাঁরা আইনি বিয়ে সেরেছিলেন। শনিবার তারই আয়োজনে, উদ্‌যাপনে উপস্থিত কাঞ্চনের স্কুলের পুরনো বন্ধুরা। রবিবারেই সেই ছবি বদলে গিয়েছে। কাঞ্চন-শ্রীময়ী ব্যস্ত তাঁদের মেয়ে কৃষভিকে নিয়ে। এ দিন একরত্তির টিকা নেওয়ার দিন। কাঞ্চন-পত্নীর কথায়, “এত লক্ষ্মী মেয়ে, একটুও কাঁদে না!” মেয়েকে সামলাতে সামলাতেই আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে ফিরে দেখলেন তাঁদের এক বছরের দাম্পত্য। স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে একরাশ তৃপ্তি ঝরে পড়ল তাঁর কণ্ঠে। শ্রীময়ী বললেন, “খানাপিনা থেকে নাচগান— কিচ্ছু বাদ রাখিনি। সব আয়োজন করেছে কাঞ্চন আর তার স্কুলের বন্ধুরা। সত্যিই আমরা খুবই ভাল আছি।”

এক বছরের বিবাহবার্ষিকীতে সাধারণত নতুন দাম্পত্যের সুখে বুঁদ হয়ে থাকেন নবদম্পতি। অনেকেই দ্রুত মা হওয়ার কথা সাধারণত ভাবেন না। শ্রীময়ী যদিও সেই পথে হাঁটেননি। সে প্রসঙ্গ তুলতেই কাঞ্চন-পত্নীর তড়িঘড়ি জবাব, “বিয়ের বছর ঘুরতেই মা হয়েছি। কোনও আফসোস নেই। আফসোস আমার অন্য বিষয়ে।” সে কথাও গোপন রাখেননি তিনি। বলেছেন, “কাঞ্চন তো সময় দিতেই চেয়েছিল। আমিই বরং মা হতে চেয়েছি। আইনি বিয়ে যে দিন সম্পন্ন হয়েছে, সে দিনই ওকে বলেছিলাম, অনেক দিন আমার পরস্পরের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকেছি। নিজেদের মতো করে সময় কাটিয়েছি। আর না, এ বার আমাদের জীবনে সন্তান আগমনের প্রয়োজন। তবে আমরা পরিপূর্ণ হব। বিবাহবার্ষিকীর সকালে কাঞ্চনকে বলেছি, কৃষভি যদি আরও এক বছর আগে আসত তা হলে ওকে কোলে নিয়ে সাত পাক ঘুরতে পারতাম। মা-বাবার আনন্দের শরিক হতে পারত সে-ও।”

ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ভালবাসার শপথে কাঞ্চন-শ্রীময়ী।

ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ভালবাসার শপথে কাঞ্চন-শ্রীময়ী।

মেয়ে বুঝুক না বুঝুক, তাকে বাদ দিয়ে কিন্তু আনন্দে মাতেননি মল্লিক দম্পতি। সকাল থেকে মেয়ের দেখভাল করেছেন দু’জনেই। বিকেলে বাকি উদ্যাপন। শ্রীময়ীর কথায়, “তখনও কাঞ্চনকে বিয়ে করব ঠিক করিনি। এক দিন কথায় কথায় জানিয়েছিলাম, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে যদি আমার বিয়ে হয়, বেশ হয়। কাঞ্চন মনে রেখে দিয়েছিল। আমার সেই ইচ্ছেপূরণ করেছে নিজে থেকেই।” তাই কাঞ্চন এ দিন কালো স্যুট-প্যান্টে সাজলেও শ্রীময়ী বেছে নিয়েছিলেন প্রেমের রং, গাঢ় লাল ড্রেস। এটি কাঞ্চনের দেওয়া উপহার, জানালেন তিনি।

বাইপাস সংলগ্ন রিসর্টে এ দিন সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। কেক কেটেছেন, ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ভালবাসার শপথ নিয়েছেন। এ দিন তাঁদের দ্বিতীয় ফুলশয্যাও হয়েছে। দুধসাদা খাটের উপরে গোলাপের পাপড়ি বিছিয়ে দেওয়া সেখানে। “কাঞ্চনের কাছে আবদার করেছিলাম, রাতটা একটু অন্য রকম হোক। কথা রেখেছে ও। সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে আমার বিশেষ রাত।” তার আগে হাতে হাত রেখে মৃদু গানের তালে নাচ। বলতে বলতে হেসে ফেলেছেন শ্রীময়ী, “আমরাই নিজেদের নাচাই। তার জন্য তৃতীয় পক্ষের দরকার পড়ে না। যত দিন যাচ্ছে তত বেশি করে পরস্পরকে আঁকড়ে ধরছি।”

এক নিঃশ্বাসে কথা বলে ছোট্ট করে দম নিয়েছেন। শ্রীময়ী তার পর যোগ করলেন, “কেউ কখনও অন্য কারও সঙ্গে আমাকে জুড়তে পারেনি। আমার এক মাত্র প্রেম কাঞ্চন। ওকে নিয়ে এত দিন লোকে বলেছে। আর বলতে পারবে না। কারণ, আমিই কাঞ্চনের জীবনের ‘পার্মানেন্ট ভ্যালেন্টাইন’!”

Kanchan Mullick Sreemoyee Chattoraj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy