Advertisement
E-Paper

‘কাঞ্চনকে ওর ছেলের থেকে আলাদা করেছি? প্রমাণ দিন, বন্ধ মামলা শুরু করব’, হুমকি শ্রীময়ীর

“মমতাশঙ্কর শাড়ির আঁচল গায়ে জড়িয়ে থাকতে ভালবাসেন। আপনার ভাল না লাগলে নগ্ন হয়ে হাঁটুন! কে নিষেধ করেছে?” কাকে একহাত নিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ?

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৩৩
মমতাশঙ্করের পাশে শ্রীময়ী চট্টরাজ।

মমতাশঙ্করের পাশে শ্রীময়ী চট্টরাজ। ছবি: ফেসবুক।

একরত্তি মেয়ে কৃষভি ভারী লক্ষ্মী। একটুও দুষ্টুমি করে না। বিধায়ক-অভিনেতা স্বামী কাঞ্চন মল্লিক তাঁকে চোখ হারান। তার পরেও স্বস্তিতে নেই শ্রীময়ী চট্টরাজ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন একাধিক ব্যক্তিকে। কী হয়েছে অভিনেত্রীর?

সম্প্রতি, তিনি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে মমতাশঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। আনন্দবাজার ডট কমকে শ্রীময়ী জানিয়েছেন, তিনি অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পীকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন। তাই কুশল বিনিময়ের পর একসঙ্গে ছবি তুলেছেন। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই কুকথায় ভরে গিয়েছে মন্তব্য বাক্স। শাড়ি পরার ধরনকে কেন্দ্র করে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর পুরনো বক্তব্যের কারণে তাঁকে তুলোধনা করেছেন কিছু নেটাগরিক। ছাড়েননি শ্রীময়ীকেও। তাঁর কথায়, “আমি নাকি ওশের থেকে ওর বাবা কাঞ্চনকে আলাদা করেছি! কত বড় মিথ্যে অভিযোগ।”

সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী। তাঁর হুমকি, “যিনি এ কথা লিখে জানিয়েছেন তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছি। আপনার হাতে এই বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি থাকলে প্রমাণ করুন। আমি বন্ধ হয়ে যাওয়া মামলা প্রয়োজনে আবার শুরু করব! কিন্তু কোনও মিথ্যে অভিযোগ শুনব না।” পাশাপাশি, মমতাশঙ্করকে অযথা কটাক্ষ করা নিয়েও তাঁর ক্ষোভ। শ্রীময়ী বললেন, “মমদি পুরনো দিনের মানুষ। আমার মায়ের বয়সি। আমার মা-ও ছোট পোশাক পরলে এখনও বলে, ‘গায়ে কিছু জড়িয়ে নে’। মমতাশঙ্করও তেমনই গায়ে আঁচল জড়িয়ে থাকতে ভালবাসেন। উনি নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। কাউকে তো সেটা মেনে চলতে বলেননি!”

স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে মমতাশঙ্কর কেন স্বাধীন মতপ্রকাশ করতে পারবেন না? জানতে চেয়েছেন কাঞ্চন-ঘরনি।

শ্রীময়ীর কথায়, “কারও যদি মনে হয় তিনি পোশাক পরবেন না, নগ্ন হয়ে হাঁটবেন তা হলে সেটাই করবেন। আপনার ভাল না লাগলে নগ্ন হয়ে হাঁটুন! কে নিষেধ করেছে?” তাঁর আরও বিরক্তির উদ্রেক হয়েছে, তাঁর প্রোফাইলে অহেতুক এই ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন কিছু মহিলা। নারীই যদি নারীকে সম্মান না করেন, তা হলে বাকিরা তো এই ধরনের আচরণ করতে আরও সাহস পাবে। এই অভব্যতা বন্ধ করতেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে সমাজমাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন। অকারণ কটূক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। বিরোধিতা করেছেন নীতিপুলিশির।

Social Media Controvercy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy