Advertisement
E-Paper

‘১৫০ কোটির ছবি সিকন্দর ফ্লপ! এ দিকে ৫০ কোটি হলেই পার্টি দেয় টলিউড’, বললেন মুকেশ ছাবড়া

“টলিউডে কাজের পরিবেশ অনেকটাই ঢিলেঢালা। ঘরোয়া, আন্তরিক, শান্ত পরিবেশ। দেখে বোঝা যাচ্ছে, সকলেই খোশমেজাজে শুটিং করছেন”, বললেন মুকেশ ছাবড়া।

উপালি মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১৫
সলমন ফুরোচ্ছেন না, দাবি মুকেশ ছাবড়ার।

সলমন ফুরোচ্ছেন না, দাবি মুকেশ ছাবড়ার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সলমন খান ব্যর্থ। ‘সিকন্দর’ তাঁকে পুরনো জায়গায় ফেরাতে পারেনি। এ বার কি ভাইজানের অবসর নেওয়া উচিত? ইদের ছবিমুক্তির পর যখন এই ধরনের মন্তব্যে সমাজমাধ্যম ছয়লাপ, দ্বিধা তৈরি হয়েছে বলিউডের অন্দরে, ঠিক তখনই হিন্দি ছবির প্রথম সারির অভিনেতা নির্বাচক মুকেশ ছাবড়ার কথায় ভিন্ন সুর। তিনি ‘সিকন্দর’ ছবিকে ‘ফ্লপ’ তকমা দিতে নারাজ। আনন্দবাজার ডট কমকে বলেছেন, “১৫০ কোটির ক্লাবে পা রেখেও বলিউডের মতে সলমন খানের ছবি ‘ফ্লপ’! আর টলিউড ৫০ কোটির ঘরে পা রাখতে পারলেই পার্টি দেয়!”

বলিউড-সহ গোটা দেশ যখন সলমনের সমালোচনায় সরব, তখনও মুকেশ অভিনেতার উপরে আস্থাশীল! কিসের জোরে? তাঁর দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা বলছে, সলমনের ছবি কোনও দিন ব্যর্থ হবে না। গড় ব্যবসা করবেই। মুকেশের উপলব্ধি, “মুশকিল হয়েছে, সলমন-ভক্তেরা প্রিয় অভিনেতাকে নিয়ে এত অতিরিক্ত আশা করে ফেলেছেন যে, সেই চাপে নিজেরাই এখন অস্বস্তিতে। নিজেদের হতাশা চাপিয়ে দিয়েছেন ভাইজানের কাঁধে। নিজেদের মনগড়া সিদ্ধান্ত খাড়া করে দিচ্ছেন, এটা অনুচিত।” তাঁর আশা, নির্দিষ্ট সময়ে সলমন আবারও স্বমহিমায় ফিরবেন। পুরোটাই সময়ের উপর নির্ভর করছে।

বৃহস্পতিবার শহরে মুকেশ। নিজের নানা কাজের পাশাপাশি উপস্থিত ‘রক্তবীজ ২’ ছবির শুটিংয়ে। তাঁকে নিয়ে আসেন পার্পল মুভিটোনের কর্ণধার প্রীতিময় চক্রবর্তী। শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতেই নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সেটে এলেন? প্রশ্নের জবাবে মৃদু হেসেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে কোনও বক্তব্য রাখেননি প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার শিবপ্রসাদও।

মুকেশের ঝুলিতে জনপ্রিয় ছবির তালিকা দীর্ঘ। অভিনেতা নির্বাচক হিসাবে তাঁকেও সমস্ত ছবির সেটে থাকতে হয়। বলিউড আর টলিউডে সেটের পরিবেশ কি একই?

অভিনেতা নির্বাচকের কথায়, “পার্থক্য রয়েছে। টলিউডে কাজের পরিবেশ অনেকটাই ঢিলেঢালা। ঘরোয়া, আন্তরিক, শান্ত পরিবেশ। দেখে বোঝা যাচ্ছে, সকলেই খোশমেজাজে শুটিং করছেন। বলিউডে সেটের পরিবেশ উল্টো। সেখানে সারা ক্ষণ সকলে দৌড়োচ্ছেন! কারও কথা বলার সময়ই নেই।” বাংলার এই আন্তরিক পরিবেশ ভাল লেগেছে মুকেশের। মনে হয়েছে, কিছু সময় এই ধরনের পরিবেশেরও প্রয়োজন।

Salman Khan Tollywood Work Culture
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy