Advertisement
E-Paper

শ্রাবণ মাসের উপোস ভাঙে পাঁঠার মাংসে! নিজের উপবাসের ধরন বর্ণনা করতেই রোষানলে তনুশ্রী

নতুন একটি পোস্টে তনুশ্রী জানান, শ্রাবণ মাসে উপোস করার পরে তিনি পাঁঠার মাংস খান। পাঁঠার মাংস খাওয়ার উপকারিতা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৫ ১৪:০২
পাঁঠার মাংস খেয়ে উপবাস ভাঙেন তনুশ্রী।

পাঁঠার মাংস খেয়ে উপবাস ভাঙেন তনুশ্রী। ছবি: সংগৃহীত।

শ্রাবণ মাসে পাঁঠার মাংস খান! এ কথা জানানোর পরেই রোষানলে পড়েছেন তনুশ্রী দত্ত। কয়েক দিন আগেই ক্যামেরার সামনে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী। দাবি করেছিলেন, গত চার পাঁচ বছর ধরে বাড়িতেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। সেই ঘটনা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। এ বার শ্রাবণ মাসে মাংস খাওয়া নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী।

নতুন একটি পোস্টে তনুশ্রী জানান, শ্রাবণ মাসে উপবাস ভাঙার পর তিনি পাঁঠার মাংস খান। পাঁঠার মাংস খাওয়ার উপকারিতা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর খাদ্যাভ্যাস আয়ুর্বেদের সঙ্গে জড়িত। এর পরেই তির্যক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন তিনি।

সাধারণত উত্তর ভারতের হিন্দুরা শ্রাবণ মাসে আমিষ খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু বাঙালি হিন্দুদের বিভিন্ন পুজোর প্রসাদে বরাবর জায়গা করে নিয়েছে মাছ-মাংসের মতো খাবারও। তনুশ্রী বলেছেন, “সন্ধে সাতটা পর্যন্ত আমি উপোস করেছিলাম। তার পরে প্রোটিন সমৃদ্ধ কালো ডাল রাঁধলাম। সেই সঙ্গে নৈশভোজে ছিল ভাত ও পাঁঠার মাংস। ধর্মীয় উপবাসের মধ্যে এত গোঁড়ামির প্রয়োজন নেই। নিজের শরীর-স্বাস্থ্য অনুযায়ী এগুলো বুঝে নেওয়া উচিত। আমার জন্য এই ধরনের উপবাস সবচেয়ে কার্যকরী হয়ে থাকে।”

তিনি আরও বলেন, “এই ভাবে উপোস করলে আমি ভাল থাকি। উপোস করে মানসিক শক্তিও অর্জন করি আবার উপোস ভাঙার সময়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাই যাতে শরীরের সক্রিয়তা বজায় থাকে।”

এই পোস্টের পরে নিন্দকেরা কটাক্ষ করতে থাকেন তনুশ্রীকে। উত্তরে অভিনেত্রী বলেছেন, “বাংলাতে এই ভাবেই উপবাস করা হয়। সন্ধে পর্যন্ত আমরা শুধু জল পান করি। সূর্যাস্তের পরে দেবীর ভোগ খাই, যা হল পাঁঠার মাংস। ভিন্ন সংস্কৃতির ভিন্ন নিয়ম।” রেগে গিয়ে তনুশ্রী বলেন, “এসে গিয়েছে কিছু নোংরা ধর্মীয় চিন্তাভাবনার মানুষ।”

এক নিন্দক কটাক্ষ করে তনুশ্রীকে লেখেন, “পশুহত্যা করে পশুপতিনাথের পুজো করছেন।” এর উত্তরে তনুশ্রী লেখেন, “কী আবোল তাবোল কথা বলছেন! আপনি তো দেবীকে অপমান করছেন। কোনও যুক্তি নেই। মনে হয় আপনি মানসিক ভাবে সুস্থ নয়। এই খাওয়াদাওয়া নেপালের প্রতিটি বাড়িতেও হয়। সেখানেও কিন্তু পশুপতিনাথের পুজো হয়। সনাতন ধর্ম নিয়ে অন্তত কেউ আমার সঙ্গে তর্কে পেরে উঠবে না।”

Tanushree Dutta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy