গত বছর নভেম্বরে ঝড় উঠেছিল এআর রহমানের পরিবারে। হঠাৎই স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন। তার কিছু দিন পরেই সায়রা জানিয়েছিলেন তিনি অসুস্থ। তাই আলাদা থাকতে চাইছেন। গত মার্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুরকার নিজেও। কিন্তু এরই মধ্যে খুশির খবর। এত বিপত্তি সামলেও সফল রহমান-সায়রার ছোট মেয়ে রাহিমা রহমান। সম্প্রতি সুইৎজ়ারল্যান্ডের এক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হয়েছেন।
সেই সাফল্যের ছবিই তুলে ধরেছেন এআর রহমান। রবিবার মেয়ের বেশ কয়েকটি ছবি তিনি ভাগ করে নিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। লিখেছেন, “আমার ছোট্ট কাজকন্যে, আতিথেয়তা, উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনের লক্ষ্য নিয়ে স্নাতক হয়েছে গ্লিয়ন ইনস্টিটিউ অফ হায়ার এডুকেশন থেকে।” তবে এটুকুই নয়। মেয়ের সাফল্যে রহমান যে কতটা খুশি তা প্রকাশ করেছেন তিনটি হ্যশট্যাগে। সেখানে তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজেকে এক গর্বিত পিতা হিসাবে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি ভোলেননি নারী ক্ষমতায়নের দিকটি তুলে ধরতেও।
রহমানের ভাগ করে নেওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাহিমাকে। বিস্কুট রঙের কো-অর্ড পোশাকের উপর কালো গ্রাজুয়েশন গাউন আর মাথায় টুপি। মঞ্চে শংসাপত্র হাতে একটি ছবিও ভাগ করেছেন রহমান।
এর আগে রহমানের পরিবার নিয়ে কম চর্চা হয়নি। এক বার বড় মেয়ে খাতিজার হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। অনেকেই দাবি করেছিলেন, মেয়েকে অমন পোশাক পরতে বাধ্য করেছেন সুরকার। যদিও পরে রহমান জানিয়েছিলেন কে কী পরবে, সে বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করেন না। ২০১৯ সালে মঞ্চে বাবার পাশে দেখা গিয়েছিল খাতিজা আর রাহিমাকে। মেয়েদের গানের পর রহমান বলেছিলেন, “আমার মেয়েদের মানসিকতা খুবই দৃঢ়। ওরা যা-ই করে, মনে করে তাতে ওদের সেরা হতে হবে। আমি ওদের সব সময় বলি, কোনও চিন্তা নেই, যেটা ইচ্ছা সেটা করে ফেললেই হল। তার পর ঈশ্বর আছেন।”
এই মুহূর্তে এআর রহমান রয়েছে উত্তর আমেরিকা। আমেরিকা-কানাডার সফর শেষ করে তিনি যাবেন ব্রিটেন। নভেম্বরে ফিরবেন দেশে।