‘তন্হা তন্হা ইন্হা পে জিনা..’ সাগরতটে পায়ে পায়ে ছুটছেন স্বল্পবসনা সুন্দরী। নব্বইয়ের দশকে এই জনপ্রিয় গানে বুঁদ হননি, এমন বলিউডপ্রেমী পাওয়া ভার। ‘রঙ্গিলা গার্ল’-এর প্রেমে তখন হাবুডুবু খেত একটা গোটা প্রজন্ম। সে দিনের তন্বী ঊর্মিলা মাতণ্ডকরের বয়স বেড়েছে। সিনেমার কাজ প্রায় নেই বললেই চলে। রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে দেখা যায় আজকাল। সদ্য স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। সম্প্রতি ঊর্মিলার ছবি দেখে ধেয়ে এল কটাক্ষ।
আরও পড়ুন:
ঊর্মিলা সম্প্রতি একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর ঠোঁট আগের তুলনায় ফুলেছে। গাল ভেঙেছে, ওজনও বেশ কিছুটা কমেছে। অভিনেত্রীর ছবি দেখে অনেকেরই ধারণা, তিনি হয় বয়স ধরে রাখতে ‘ফিলার’ ব্যবহার করছেন, নয়তো অজ়েম্পিক ব্যবহার করেছেন। এটা এক ধরনের ইঞ্জেকশন, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করতে ও টানটান রাখতে সাহায্য করে। কেউ লিখেছেন, ‘এ বাবা, মুখে এ কী করলেন’, কেউ লিখেছেন, ‘পুরনো স্নিগ্ধতা নষ্ট করে ফেলেছেন!’
‘মাসুম’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম বলিউডে পা। লাস্যময়ী ঊর্মিলাকে জহুরির চোখে চিনেছিলেন রামগোপাল বর্মা। আমির খান, জ্যাকি শ্রফের সঙ্গে ‘রঙ্গিলা’ তাঁকে আর ফিরে তাকাতে দেয়নি। ‘জুদাই’, ‘সত্য’, ‘কৌন’, ‘পিঞ্জর’, ‘প্যায়ার তুনে কেয়া কিয়া’— একের পর এক হিট ছবিতে লাস্যের পাশাপাশি অভিনয়েও নজর কেড়েছিলেন তৎকালীন বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী। ২০১৪ সালের পরে বলিউড থেকে অদৃশ্যই হয়ে যান অভিনেত্রী। পরে যোগ দেন রাজনীতিতে।