‘রক্তকরবী’ নাটকের মহড়ায় (বাঁ দিকে) গৌতম হালদার এবং চৌতি ঘোষাল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
৩ নভেম্বর প্রয়াত হয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং নাট্যনির্দেশক গৌতম হালদার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ নাটকের দু’শোর বেশি শো তাঁরই নির্দেশনায়। সম্প্রতি ‘রক্তকরবী’ নাটকের একশো বছর পূর্তিকে মাথায় রেখেই নতুন ভাবে নাটকটি মঞ্চস্থ করেন গৌতম। এই নাটকে নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করেন চৈতি ঘোষাল। নির্দেশককে ছাড়া অভিনেত্রী কী ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে।
আগামী ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ‘পূর্ব পশ্চিম’ এবং ‘শিশিক্ষু’-র যৌথ উদ্যোগে মধুসূদন মঞ্চে গৌতমের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রয়াত নির্দেশককে নিয়ে কথা বলবেন গৌতম ঘোষ, শুভাপ্রসন্ন, বিজয়লক্ষ্মী বর্মণ, প্রতুল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। গানে রাজশ্রী ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে মঞ্চস্থ হবে ‘রক্তকরবী’। গৌতমের নির্দেশনায় শুরু থেকেই নন্দিনীর চরিত্রে দর্শক চৈতিকে দেখেছেন। এই প্রথম সেখানে অনুপস্থিত গৌতম। তাঁর মনের অবস্থা কী রকম? উত্তরে চৈতি বললেন, ‘‘আমার কাছে এটা একটা বড় শূন্যতা। মাথার উপর থেকে যেন একটা বড় ছাদ সরে গিয়েছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও আমি গৌতমদাকে ‘রক্তকরবী’ আঁকড়ে বাঁচতে দেখেছি। ওঁর পরিচালনার যথাযথ মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব।’’
‘রক্তকরবী’-র সঙ্গে গৌতমের সম্পর্ক ছিল আত্মিক। নাটকের সঙ্গীত থেকে শুরু করে প্রপ্স— সবেতেই ছিল তাঁর নিজস্ব ছোঁয়া। চৈতি বললেন, ‘‘প্রত্যেকটা শোয়ের আগে নন্দিনীর মালা এবং গয়নাগুলো গৌতমদা নিজের হাতে তৈরি করে দিতেন। এ বার আর সেটা হবে না। ওঁর বানিয়ে রাখা গয়নাগুলো পরেই অভিনয় করব।’’
চৈতি জানালেন, মহড়ার সময় সামনে চেয়ার নিয়ে বসে থাকতেন গৌতম। সে কথা মনে রেখেইএখনও নাটকের মহড়া চলাকালীন সামনে একটি চেয়ার খালি রাখা হয়। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘রোজ সেখানে কেউ না কেউ কিছু লেখা বা ফুল নিয়ে এসে রাখেন। এই ভাবেই গৌতমদা রয়ে গিয়েছেন আমাদের মধ্যে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy