কঙ্গনা রানাউত।
কঙ্গনা রানাউতের পর এ বার বৃহন্মুম্বই পুরসভার নজরে আর এক বলি ব্যক্তিত্ব। বেআইনি নির্মাণ এবং নিজের বাসস্থানকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করার জন্য বলিউডের নামজাদা ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ মলহোত্রকে আইনি নোটিস পাঠাল বৃহন্মুম্বই পুরসভা।
সেই নোটিসে লেখা রয়েছে, মুম্বই পুর আইনের ৩৫১ (১) ধারা অনুযায়ী, মণীশ মলহোত্র অনুমতি ছাড়াই বাড়ির প্রথম তলাকে অফিসে রূপান্তরিত করেছেন। পাশাপাশি, এসি-র জন্য যে ছাদ তিনি বানিয়েছেন তা-ও অবৈধ বলে দাবি পুরসভার। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আগামী সাত দিনের মধ্যে মণীশকে ওই আইনি চিঠির জবাব দেওয়ার আদেশ দিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা।
মণীশের বাড়ি এবং কঙ্গনার অফিস পাশাপাশি। বুধবারই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে কঙ্গনার অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তাল ছিল গোটা দেশ। গত মঙ্গলবার বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে পালি হিলে কঙ্গনার মণিকর্ণিকা ফিল্মসের একটি দফতরে নোটিস ঝুলিয়ে দেয় বিএমসি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। বুধবার সকাল পর্যন্ত তা না পৌঁছতেই বুধবার দুপুরে বুলডোজার নিয়ে অফিস ভাঙার কাজ শুরু করে বিএমসি। অফিস ভাঙা শুরু হতেই বম্বে হাইকোর্টে যান কঙ্গনা। ভার্চুয়াল শুনানিতে অভিনেত্রী জানান, তাঁর কাছে নির্মাণ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র রয়েছে। অফিস ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্ট বলে, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, যে ভাবে ভাঙার কাজ এগিয়েছে তা আইনসম্মত নয়। এই তৎপরতা যদি বিএমসি অন্য বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে দেখাত, তা হলে মুম্বই শহরের চেহারা অন্য রকম হত। কঙ্গনাও পরপর টুইটে নিশানা করতে থাকেন শিবসেনা নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট-হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহঙ্কার ভাঙবে।’’ কঙ্গনার এই তরজায় বলিউডের অধিকাংশ ব্যক্তিত্বই গতকাল মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। যদিও অনুপম খের-সহ দু’-একজন বলি অভিনেতা পাশে দাঁড়ান অভিনেত্রীর।
দীপিকা এবং রণবীর কপূরের সঙ্গে মনীশ (মাঝখানে)। ফাইল চিত্র।
আজ মণীশের বাড়িতে আইনি নোটিস পাঠানোর পর নেটাগরিকদের একাংশের প্রশ্ন,বুধবার বৃহন্মুম্বই পুরসভার কঙ্গনার প্রতি ‘প্রতিশোধমূলক আচরণ’ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল তার প্রভাবেই ভাবমূর্তির স্বচ্ছতা প্রমাণেই কি এ বার বিএমসি’র নজরে মণীশ? যদিও মণীশ এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খোলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy