(বাঁ দিকে) সেলিম খান। শান্ত খান (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।
মঙ্গলবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল ও পার বাংলার শাপলা মিডিয়া প্রযোজনা সংস্থা সেলিম খান আর তাঁর অভিনেতা ছেলে শান্ত খানের। আওয়ামী লীগের অন্যতম সক্রিয় সদস্য, চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম ও তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে খুন করা হয় সোমবার। প্রযোজকের স্ত্রী, আরও এক পুত্র এবং দুই কন্যা বর্তমান। খবর, মঙ্গলবার বাড়িতে স্বামী-সন্তানের দেহ পৌঁছনো মাত্র ভেঙে পড়েন প্রযোজকের স্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে গুঞ্জন ছড়ায়, আকস্মিক অঘটন মেনে নিতে না পেরে নাকি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁরও। আনন্দবাজার অনলাইন খবর নিয়ে জেনেছে, গুঞ্জন সর্বৈব মিথ্যে। এ দিন পাশাপাশি দুই কবরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় পিতা-পুত্রের। পরিবারের প্রত্যেক সদস্য আতঙ্কিত। প্রাণভয়ে কি দেশত্যাগ করবেন তাঁরা? সে কথা অবশ্য জানা যায়নি। খবর, ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকা থমথমে। সোমবার চাঁদপুর সদর উপজেলার একাধিক জায়গায় আগুন ধরানো হয়। মঙ্গলবার সকালেও পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গিয়েছে।
এ দিকে, সেলিম-শান্ত খানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আরও একটি চর্চা শুরু হয়েছে। শাপলা মিডিয়ার ভবিষ্যৎ কী? সেলিমের অন্য ছেলেমেয়েরা কি বাবার সংস্থার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেবেন?
শোনা গিয়েছে, আপাতত বিষয়টি নিয়ে কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই ‘খানদান’। তবে শহরে শাপলা মিডিয়ার অফিসে কোনও ভাঙচুর হয়নি। আরও জানা গিয়েছে, সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা শান্ত খানের তিনটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। সেগুলোর ভবিষ্যৎ কী? উত্তর নেই কারও কাছে। বাংলাদেশ বিনোদন দুনিয়া জানাচ্ছে, গত এক বছর ধরে প্রযোজনা থেকে দূরেই ছিলেন সেলিম। নানা মামলা-মোকদ্দমায় নাকি জর্জরিত ছিলেন। ঠিক করেছিলেন, সব মিটিয়ে নতুন বছর থেকে নতুন ভাবে আবার শুরু করবেন। সেই অনুযায়ী, দুই বাংলার অভিনেতাদের নিয়ে সাতটি ছবি বানানোর কথাও নাকি সংস্থার কর্মীদের প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন। আপাতত তাঁর যাবতীয় পরিকল্পনা বিশ বাঁও জলে। এ পার বাংলার দেব, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক তারকার সঙ্গে হৃদ্যতা ছিল সদ্যপ্রয়াত বাংলাদেশি প্রযোজকের। শ্রাবন্তী, কৌশানীর বিপরীতে নায়কও হয়েছেন শান্ত। অভিনেতার মৃত্যুর খবরে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে শোকপ্রকাশ করেছেন কৌশানী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy